মঙ্গলগ্রহে মহাকাশযান ‘পারসিভারেন্স’ সফলভাবে অবতরণ করায় মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও দুবাই শাসক শেখ মুহাম্মাদ বিন রাশেদ আল মাকতুম।
তিনি টুইটারে উল্লেখ করেন, মঙ্গলগ্রহে নাসার মহাকাশযান পৌঁছানোর ঘটনা বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানে মানুষের জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করবে। ছয় চাকার চালিত মহাকাশযানটি পৃথিবী থেকে ৪৭০ মিলিয়ন কিলোমিটার পথের যাত্রা শুরু করেছিল প্রায় সাত মাস আগে।
মহাকাশযানটির সফল অবতরণ বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন বিজ্ঞানীরা। অবতরণের শেষ মুহূর্তটিকে ‘সেভেন মিনিটস অব টেরর’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন তারা। কেননা অবতরণের সময় দ্রুত বেগে আঁছড়ে পড়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে এসব যান। তাই সময়টি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, অবতরণের পর ভালো অবস্থানে রয়েছে পারসিভারেন্স। খুব শিগগিরই এটি মঙ্গলের পৃষ্ঠে অভিযানও শুরু করবে। ছয় চাকার ওই অনুসন্ধানযান মঙ্গলপৃষ্ঠের ছবি তুলবে, মাটির প্রকৃতি বিশ্লেষণ করবে এবং সেই সব ছবি ও তথ্য পাঠাতে থাকবে।
নাসার পারসিভারেন্স মহাকাশযানটির রোভার অংশটিতে রয়েছে অবতরণের কোনো রকম সমস্যা এড়ানোর জন্য উন্নত প্রযুক্তি পারসিভারেন্স সফলভাবে অবতরণ করায় মঙ্গলগ্রহে অতীতে কোনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না তা জানার অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এর আগে, এত উন্নত যন্ত্রপাতি নিয়ে কোনো গ্রহে বৈজ্ঞানিক মিশন পাঠানো হয়নি এবং এত সম্ভাবনাময় একটা স্থানকে লক্ষ্য করে কোনো রোবটও এর আগে কখনো নামানো হয়নি।
মঙ্গলপৃষ্টের যে স্থানে মনুষ্যবিহীন যানটি অবতরণ করেছে সে হল স্থানটি জেযেরো ক্রেটার। উপগ্রহচিত্রের ভিত্তিতে বিজ্ঞানীদের ধারণা একটা সময় এই গহ্বরের স্থানটিতে বিশাল একটি হ্রদ ছিল। হ্রদটিতে প্রচুর পানি ছিল এবং সম্ভবত সেখানে জীবনও ছিল।
জেযেরো গহ্বরের ধুলোবালুর মধ্যে থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে রোবট যানটি, যা বিশ্লেষণ করে দেখা হবে গ্রহটিতে অতীতে জৈব কোন কর্মকাণ্ডের হদিস ছিল কি না। সবচেয়ে লক্ষণযুক্ত ও সম্ভাবনাময় নমুনা পৃথিবীতে পাঠানো হবে ভবিষ্যত মিশনের প্রস্তুতির জন্য।