করোনায় মাতৃমৃত্যু হার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। জন হপকিন্সের গবেষণায় উঠে এসেছে, সংক্রমণের ভয়, অর্থনৈতিক সংকট, যানবহন সমস্যা, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পর্যাপ্ত সেবার সুযোগ ব্যাহত হওয়াসহ নানা কারণে প্রসবকালীন পূর্ণ সেবা নিশ্চিত করা যায়নি।
মৃত্যুহার বৃদ্ধি ছাড়াও প্রসব পরবর্তী নানা জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে আসছেন মায়েরা।
অদক্ষ ধাত্রীর হাতে প্রসবের যন্ত্রণাদায়ক ফল ভোগ করছেন পাপিয়া আক্তার। হারিয়েছেন প্রথম সন্তান। নিজের জীবন বাঁচাতে প্রসব পরবর্তী জটিলতা নিয়ে সাভারের ধামরাই থেকে ছুটে এসেছেন ঢাকা মেডিকেলের গাইনি ওয়ার্ডে। সেবিকারা জানান, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যাচ্ছে বাচ্চা হয়েছে কিন্তু ফুল (প্লাসেন্টা ) পড়েনি।
মহামারির আগেই ৪৭ ভাগ মায়ের প্রসব হতো বাসা বাড়িতে অদক্ষ ধাত্রীর হাতে। করোনাকালীন এই হার ৭০ শতাংশের বেশি হওয়ায় মৃত্যুহার ৭৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। বাসাবাড়িতে প্রসব যত বাড়বে মৃত্যু হার ততই বাড়বে বলে আশঙ্কা গাইনি বিশেষজ্ঞদের। অধ্যাপক ডা. শুলশান আরা বলেন, মহামারিকালে যেন গর্ভধারণ না করে সে জন্য সচেতনতা বাড়ানো দরকার। যারা অন্তঃসত্ত্বা তাদের প্রসব হাসপাতাল বা ক্লিনিকে করা হলে এ ধরনের জটিলতা ও মৃত্যুহার কমানো সম্ভব।