মোঃ রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা উপজেলায় বাণিজ্যিক ভাবে শুরু হয়েছে ব্রোকলি চাষ। ব্রোকলি একটি ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এ সমৃদ্ধ উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন কীটনাশকমুক্ত সব্জি হওয়ায় স্থানীয় কৃষি বিভাগ এ সব্জি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছেন। আর এ সব্জিটি চাষ করে লাভবান হচ্ছে কৃষকরা।
ব্রোকলি যে শুধুই স্বাদে, বর্ণে ও গন্ধে অনন্য তা নয়। ব্রোকলিতে রয়েছে বহুবিধ পুষ্টি উপাদান, যা আমাদের শরীর স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে নানা ভাবে সহায়তা করে। শক্তিশালী এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতায় এই ব্রোকলির জুড়ি মেলা ভার। সাধারণত : অন্যান্য সব্জিতে ব্রোকলির মত এত পুষ্টিগুণ পরিলক্ষিত হয় না। আর এজন্যই এর কদরও দিন দিন বেড়েই চলেছে। অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি ব্রোকলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকায় রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে এবং দৃষ্টি শক্তি ঠিক রাখে। এছাড়া এতে ক্যালরীর পরিমাণ অনেক কম থাকে বলে অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ব্রোকলি চারা তৈরি থেকে ৯০ দিনে উত্তোলন যোগ্য এবং রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয় এবং এটি কীটনাশকমুক্ত। এটির পরিচর্যা ও উৎপাদন খরচ বিঘা প্রতি জায়গাভেদে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। যা বিক্রি করে আয় হয়ে থাকে ৮০ থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত। কম সময়ে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষক এ চাষে দিন দিন আগ্রহী হচ্ছে।
এবছর শার্শা উপজেলায় ২ একর জমিতে ব্রোকলির চাষ হয়েছে। কৃষক খুবই আগ্রহী কারণ এ ফসলটি অধিক পুষ্টি গুণে গুনান্বিত। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধী একটি সব্জি এবং উৎপাদন খরচ খুবই কম। প্রতি বিঘাতে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয় এবং কৃষক ৮০ থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্রোকলি বিক্রি করতে পারে। যার জন্য শার্শার বিভিন্ন এলাকার চাষীরা ব্রোকলি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছি।