নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় শ্রমজীবীদের একটি মেস বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে ৩৪টি টিনের ঘর পুড়ে গেছে। এতে প্রতিটি পরিবারের এক লাখ করে অন্তত ৩৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে। তবে আগুনে কেউ হতাহত বা দগ্ধ হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) রাত দশটায় সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার মুসলিমনগর এলাকায় স্থানীয় গিয়াস উদ্দিনের মেসবাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। মেসবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের শিকার এই ৩৪ পরিবারের মানুষ গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রথমে একটি ঘরে আগুন লাগে পরে মূহুর্তের মধ্যে অন্যান্য ঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় আতংকে ঘরগুলোর বাসিন্দারা রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। ততোক্ষণে তাদের সবার ঘরের সব আসবাবপত্র, নগদ টাকা ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পুড়ে যায়। কিছুই রক্ষা করা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের ফতুল্লার বিসিক স্টেশনের ১টি ও শহরের মণ্ডলপাড়া স্টেশনের আরো ১টি মিলে দুইটি ইউনিটের প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে বারোটায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লার বিসিক ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার কাজল মিয়া সময় নিউজকে বলেন, আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও সরু সড়কের কারণে সেখানে আগুন নেভাতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারেনি আমাদের দমকল বাহিনীর কর্মীরা। পরে বিসিক ও মণ্ডলপাড়া স্টেশনের দুইটি ইউনিট আড়াই ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে রাত সাড়ে বারোটায় আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুসলিম পরিবারগুলোর লোকজন বলছে হিন্দুদের ঘরের ধুপ থেকে আগুন লেগেছে। অপরদিকে হিন্দু পরিবারগুলো বলছে বিদ্যুতের বোর্ড থেকে আগুন লেগেছে। আমরা উভয়পক্ষের কথা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখেছি। তবে আমাদের কাছে আগুনের সূত্রপাত বিদ্যুতের বোর্ড থেকেই হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন সময় নিউজকে জানান, সরু সড়কের কারণে ফায়ার সার্ভিসের অগ্নি নির্বাপক পানির ট্যাঙ্কগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে অনেক সময় লেগে যায়। তবে দুইটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। আগুনের সূত্রপাত এবং ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।