মোঃ রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও অনলাইনে ভূমি দখলকারী উচ্ছেদ চেষ্টাকারী আব্দুল জলিলের সংবাদ প্রচারের পর ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে যশোরের শার্শা থানার উলাশী ইউনিয়নের গিলাপোল গ্রামে পৈত্রিক ভিটায় অবস্থিত বসত বাড়ী থেকে সহিদুল গংয়ের পরিবারকে উচ্ছেদ করতে ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের দিয়ে বসত বাড়ীঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ৩ জনকে আহত করে।
বুধবার ২৫ নভেম্বর দফায় দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা হলেন মোঃ শহিদুল ইসলাম (৩৫) মোছাঃ নার্গিস (৩০) মোঃ আমেনাে (৬০) ,আহতদের স্থানীয় ডাক্তারদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। এই হামলা উচ্ছেদের চেষ্টার ঘটনায় শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত চার-পাঁচ জনের নাম নাম উল্লেখ করে শার্শা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শার্শা থানায় অভিযোগ কারী সন্ত্রাসী হামলার শিকার শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে অবৈধভাবে ভোগ দখলের জন্য একই গ্রামের আব্দুল জলিল সহ অন্যান্যদের নামে আমি মহামান্য আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলাটি চলমান রয়েছে। তার পাশাপাশি আমার বসত ভিটা নিরাপত্তার জন্য সম্প্রতি আমি মহামান্য আদালতে ১৪৪ ধারা জারির আবেদন করি। মহামান্য আদালতের ১৪৪ ধারা জারি উপেক্ষা করে আব্দুল জলিল সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার পরিবারের উপরে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। সাথে সাথে পৈত্রিক ভিটা থেকে উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে বসত ভিটায় অবস্থিত আমার পরিবারের মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁয়ের টিনের ঘরটি ভাঙচুর করে। পরে গ্রামবাসী এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে চলে যায়।
ওই ঘটনায় আমার পরিবারের জীবনের ও বসতভিটা নিরাপত্তা চেয়ে আমি শার্শা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। এ ব্যাপারে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম মিলন বলেন, বিষয়টি আমি মিডিয়ার মাধ্যমে জেনেছি। দুই পক্ষ থেকে আমি কোন অভিযোগ পায়নি। তবে আমি শুনেছি আদালতে মামলা বিচারাধীন। আমি দুই পক্ষকে অনুরোধ করছি, যাতে আইন শৃংখলার অবনতি না হয়।
এ বিষয়ে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম বলেন, শহিদুল নামে একজন থানায় অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন।অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে অবশ্যই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।