সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের ১০ জন নেতাকর্মী।
শনিবার সকালে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় ইট পাটকেল ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। পরে পুলিশ টিয়ারশেল গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বেলকুচি উপজেলা আ’লীগের উদ্যোগে বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। পরে এ সভা শুরু হলে বেলকুচি আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা ও রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেলকুচি মেয়র প্রার্থী সাজ্জাদুল হক রেজার সমর্থক ও বর্তমান মেয়র বেগম আশানুর বিশ্বাসের সমর্থকের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের কারণে ১০ জন আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলকুচি উপজেলার আ’লীগের কার্যালয়ে ১১টায় বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন। অনুষ্ঠানের শুরুর দিকেই বেলকুচি মেয়র আশানুর বিশ্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিল সভার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বেলকুচি মেয়র প্রার্থী সাজ্জাদুল হক রেজার সমর্থকরা রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে ছিল ও আশানুর বিশ্বাসের সমর্থকদের দু’গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে বর্তমান মেয়র বেগম আসানুর বিশ্বাস বলেন, আমি নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে বর্ধিত সভায় যোগদান করতে কার্যালয়ের কাছাকাছি আসলে রেজা গ্রুপের লোকজন আমার নেতা কর্মীদের ওপর ঢিল ছুরতে থাকে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং হামলা চালায় আর এই হামলায় আমার ৭ জন কর্মী আহত হয়।
বেলকুচি উপজেলার সাবেক আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজা জানান, আমি আসন্ন বেলকুচি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী। এর জের ধরে মেয়র আশানুর বিশ্বাসের লোকজন আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করেছে।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা জানান, দু’পক্ষের মাঝে মৃদু উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। পরে নিরাপত্তার স্বার্থে ৬ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়। দু’পক্ষের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ঘটনায় এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।