এয়ারলাইন্সের ভুলে দুবাই থেকে ফেরত আসা ১০৪ বাংলাদেশিকে টিকিটের টাকা ফেরত দিয়েছে ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইন্স। তবে টিকিটের পুরো অর্থ ফেরত পাননি অধিকাংশ যাত্রী।
দুবাই ফেরত ১০৪ যাত্রীর মধ্যে যারা ট্রাভেল এজেন্সি থেকে টিকিট কেটেছেন তাদের অধিকাংশ টিকিটের বাকি টাকা ফেরত পায়নি। ট্রাভেল এজেন্সিকে যে দামে ফ্লাই দুবাই টিকিট বিক্রি করেছে সে টাকাই ফেরত দেয়া হয়েছে দুবাই ফেরত যাত্রীদের। ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগ, ফ্লাই দুবাই এজেন্সিগুলোর কাছে ৫২ থেকে ৬০ হাজার টাকা দামে টিকিট বিক্রি করলে তাদের কাছে ট্রাভেল এজেন্টরা ৮০ থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। এখন তাদের বাকি অর্থ ফেরত দিতে টালবাহানা করছে এজেন্সিগুলো। এ ব্যাপারে সিভিল অ্যাভিয়েশনের সহযোগিতা চান যাত্রীরা।
এ বিষয়ে ট্রাভেল এজেন্টদের সঙ্গে যোগোযোগ করতে বলছে ফ্লাই দুবাই। দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুবাই ফেরত ১০৪ যাত্রীকে টিকিটের অর্থ ফেরত দেয় এয়ারলাইন্সটি। তবে পুরো অর্থ ফেরত না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা। গত ৯ অক্টোবর ফ্লাই দুবাইয়ের দুটি ফ্লাইটে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১২৫ যাত্রী দুবাই গেলেও তাদের মধ্যে ১০৪ জন যাত্রীকে দুবাই প্রবেশ করতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ। প্রায় তিন দিন দুবাই বিমানবন্দরে চরম ভোগান্তির পর তাদের ফেরত পাঠানো হয়।
১১ অক্টোবরে ফেরত আসা যাত্রীদের অভিযোগ ও এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে ফেরত আসা যাত্রীদের টিকিটের টাকা ও আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ অতিরিক্ত আরও সাড়ে তিন হাজার টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয় বিমানবন্দরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
টিকিটের অর্থ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সিভিল অ্যাভিয়েশন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান এই ঘটনার জন্য দুবাইয়ের ইমিগ্রেশন পলিসি পরিবর্তনকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, এর জন্য এয়ারলাইন্সকে পুরো দোষ দেয়া যায় না। এর আগেও আবুধাবি থেকে দুটি এয়ারলাইন্সের ১১২ জন যাত্রী ফেরত পাঠানো হয়েছিল তাদের ভুলের কারণে। ফ্লাই দুবাইয়ের কান্ট্রি ম্যানেজার অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে আগামীতেও যাত্রীদের সঙ্গে থাকার অনুরোধ জানান।