রাজধানীর হাতিরঝিল লেক থেকে উদ্ধার করা লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আজিজুল ইসলাম মেহেদী (২৪)। তাকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে। স্বজনরা বলছেন, তিনি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পাসপোর্ট করাতে এসে দালালের খপ্পরে পড়ে খুন হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আজিজুল ইসলাম মেহেদীর মরদেহ শনাক্ত করতে এসে এ অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা।
আজিজুল ইসলাম মেহেদী চট্টগ্রাম সন্দ্বীপ উপজেলার বাউরিয়া গ্রামের ফখরুল ইসলামের একমাত্র ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র।
আজিজুল ইসলাম মেহেদীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১০ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে পাসপোর্ট করানোর কথা বলে ঢাকায় আসেন মেহেদী। পরে বনশ্রীতে তার বন্ধুর বাসায় ওঠেন। রবিবার (১১ অক্টোবর) ভোরে বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকেই মেহেদীর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তার ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। সোমবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৬টার দিকে পুলিশ তাদের জানায় তার মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে। পরে আজ মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) তারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এসে মরদেহ শনাক্ত করেন।
আজিজুল ইসলাম মেহেদীর খালাতো ভাই মো. শাকিল বলেন, ‘মেহেদী লেখাপড়ার পাশাপাশি পরিচিতদের পাসপোর্টের কাজ করে দিতো বলে জানতাম। পরিচিত কারও পাসপোর্টের কোনও সমস্যা থাকলে সে বিভিন্ন জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করে ঠিক করে দিতো। এখন কে বা কারা তাকে এভাবে হত্যা করেছে তা বলতে পারি না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ঢামেক হাসপাতাল সূত্রে জানতে পেরেছি তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের ধারণা, সে পাসপোর্ট করানোর জন্য এসে দালালদের খপ্পরে পড়েছে। আর এর কারণেই তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। আমরা এ বিষয়ে হাতিরঝিল থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এ বিষয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হাফিজ আল ফারুক বলেন, ‘বিষয়টি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে। আশা করি দ্রুত এর রহস্য উদঘাটন করতে পারবো।’
উল্লেখ্য, সোমবার (১২ অক্টোবর) হাতিরঝিলের রামপুরা অংশে লেক থেকে আজিজুল ইসলাম মেহেদীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
উৎসঃ বাংলা ট্রিবিউন