যুদ্ধবিরতির মধ্যেই আজারবাইজানের বেসামরিক এলাকায় আর্মেনিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাকু। শনিবার রাতের ওই হামলায় অন্তত সাত আজেরি নাগরিক নিহত হয়। রবিবার টুইটারে দেওয়া পোস্টে ওই হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ।
টুইটে ইলহাম আলিয়েভে বলেন, ‘আর্মেনিয়ানদের লক্ষ্য ছিল মুক্ত অঞ্চলগুলো পুনরায় দখল করা। এই অপরাধের দায় দেশটির রাজনৈতিক-সামরিক নেতৃত্বকে নিতে হবে। আজারবাইজান উপযুক্ত প্রতিশোধ নেবে!’
মধ্যরাতে আবাসিক এলাকায় আর্মেনিয়ার এমন হামলাকে যুদ্ধাপরাধ এবং জেনেভা কনভেনশনের গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবেও অভিহিত করেন আজেরি প্রেসিডেন্ট।
এদিকে কারাবাখ অঞ্চলে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যকার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা ও হতাহতের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের পুরনো সংঘাত গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে আবার শুরু হয়। গত কয়েক দিনের সংঘাতে ৩ শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। শুক্রবার (৯ অক্টোবর) রুশ প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে দুই পক্ষ মস্কোতে অস্ত্রবিরতির আলোচনায় সম্মত হয়। সেই আলোচনা শেষে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোর ৬টার কিছু সময় আগে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে অস্ত্রবিরতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
রবিবার (১১ অক্টোবর) টুইটার পোস্টে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় লিখেছে, ‘আর্মেনীয় বাহিনী রাতে নতুন করে গানজার আবাসিক এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে সাত জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।’