করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিন দিন হাসপাতালে থাকার পর আবারও হোয়াইট হাউজে ফিরেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউজের সিড়ির মাথায় পৌঁছেই মাস্ক খুলে ছবির জন্য পোজ দেন তিনি। ছবি তোলা শেষ হয়ে গেলে মাস্ক খোলা রেখেই ভেতরে প্রবেশ করেন ট্রাম্প। পরে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে একটি ভিডিও ধারণ করে টুইটারে পোস্ট করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দেশটির নিউজ ওয়েবসাইট সিনেট এর প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত কয়েক দিনে হোয়াইট হাউজের বেশ কয়েক জন কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সর্বশেষ ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি কেইলিয়েগ ম্যাকানি এবং তার দুই ডেপুটির আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা গেছে। হোয়াইট হাউজের একটি অনুষ্ঠান থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে ধারণা করছেন অনেকেই। ওই অনুষ্ঠানেও মাস্ক ছাড়াই হাজির হয়ে বক্তব্য রাখেন ট্রাম্প।
সোমবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনের ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিক্যাল সেন্টার থেকে মেরিন ওয়ান হেলিকপ্টারে উঠে হোয়াইট হাউজের দক্ষিণ লনে নামেন ট্রাম্প। সেখান থেকে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের প্রথম তলায় প্রবেশের জন্য ট্রাম্পের জন্য বিশেষ সিড়ির ব্যবস্থা রাখা হয়। হেলিকপ্টার থেকে নেমে সিড়ির ওপরে ওঠার পর মাস্ক খুলে ফেলে ছবি তোলার জন্য দাঁড়ান তিনি। সেখান থেকে কিছু দূরেই সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছিলেন তার সহকারীরা।
পরে সোমবার রাতে টুইটারে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে অনেক কিছুই জানতে পেরেছি।’ তিনি বলেন, ‘খুব বেশি ভালো লাগছিলো না কিন্তু দুই দিন আগে থেকে খুব ভালো লাগতে শুরু করে যেমনটা দীর্ঘ দিন আগে লাগতো।’
ট্রাম্প হাসপাতাল ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার আগে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক সিন কোনলি জানান, অবস্থার উন্নতি অব্যাহত থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এখনও ‘বিপদমুক্ত’ বলা যাচ্ছে না। তারপরও হাসপাতাল থেকে হোয়াইট হাউজে ফেরেন তিনি। এনিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ওই ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প বলেন, তিনি সেটাই করেছেন যা কাজে ফিরতে হলে অন্য যেকোনও নেতারই করা উচিত। তিনি বলেন, ‘জানি ঝুঁকি আছে, বিপদ আছে কিন্তু সেসব থাক… আমি এখন আরও ভালো আছি আর হয়তো প্রতিরোধ ক্ষমতাও অর্জন করে ফেলেছি, তবে এখনও জানি না।’