অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুনিয়াউট কাশবনে ঘুরতে যাওয়া তরুণীর শ্লীলতাহানির ভিডিও ভাইরালের ঘটনার মূলহোতা ও প্রধান আসামি মো. রাহিম আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের আদালতে সে আত্মসমর্পণ করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলমসহ সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর এলাকার পুনিয়াউটে কাশবনে ঘুরতে যাওয়া এক শারীরিক প্রতিবন্ধী তরুণীর শ্লীলতাহানির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালের ঘটনায় মূলহোতা ও মামলার প্রধান আসামি মো. রাহিম আজ দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কাশবনে তরুণীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় গত ২৮ সেপ্টম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোগ্রাফি আইনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসআই শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে এ ঘটনায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাহিমের সহযোগী জুনায়েদ (২৪)কে আটক করে সদর থানা পুলিশ। তাকে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম জানান, আদালতে আত্মসমর্পণ করা আসামি রাহিমের বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) আদালতে রিমান্ড শোনানি হওয়ার কথা রয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর আসামির কাছ থেকে পুরো ঘটনায় কারা কারা জরিত রয়েছে, বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ্য: গত ২৩ সেপ্টেম্বর (বুধবার) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফেসবুকভিত্তিক সংগঠন ‘আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ তাদের গ্রুপ ‘উইশ ফর ব্যাটার ব্রাহ্মণবাড়িয়া’য় তরুণীর শ্লীলতাহানির একটি ভিডিও পোস্ট করে। যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে শ্লীলতাহানির শিকার তরুণীর পরিচয় গোপন রাখা হয়। ভিডিওটিতে দেখা যায়, কালো বোরকা পরিহিত এক তরুণী জেলা শহরের পুনিয়াউটের কাশবনে বেড়াতে যান। সেখানে তরুণীটিকে আটকে রেখে তার শ্লীলতাহানি ও উত্ত্যক্ত করা হচ্ছে। ভিডিওটি ভাইরাল হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে। এর পর থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে মাঠে নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশসহ জেলা পুলিশের একাধিক টিম।