নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে চলমান সংঘাতে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীর ছোড়া গোলা আজারবাইজানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গানজাতে আঘাত হেনেছে। আর্মেনীয় বিচ্ছন্নতাবাদীরা জানিয়েছে, তারা গানজা শহরের সামরিক বিমানবন্দরে হেনেছে। তাদের রাজধানী স্টেপানকার্টে আজেরিদের হামলার জবাবে এই পাল্টা হামলা চালানো হয়। আজারবাইজান দাবি করেছে, গানজারর কোনও সামরিক স্থাপনায় আঘাত হয়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
গত রবিবার শুরু হওয়া এই সংঘাতে ২২০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে বেসামরিক নিহতের সংখ্যা। কারণ উভয়পক্ষের দাবি করা হতাহতের সংখ্যা স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
আজারবাইজানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সংঘাত শুরুর পর তারা সাতটি গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তবে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বলছে, ফ্রন্টলাইনে তাদের সেনাদের অবস্থানে উন্নতি হয়েছে। এর আগে, আর্মেনিয়া জানায়, ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোচনায় অংশগ্রহনের জন্য প্রস্তুত। তুরস্ক সমর্থিত আজারবাইজান দাবি করেছে, নাগোরনো-কারাবাখ ও এতদসংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে আর্মেনীয় সেনাদের প্রত্যাহার করতে হবে।
রবিবার এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আর্মেনীয় সেনারা গানজাতে গোলাবর্ষণ করছে। এই ঘটনা স্পষ্টভাবে উসকানিমূলক। এতে সংঘাত আরও বাড়ছে। পরে আরেক বিবৃতিতে আজেরিরা দাবি করে, গানজা শহরের সামরিক স্থাপনায় গোলাবর্ষণ সম্পর্কে আর্মেনীয়দের দাবি মিথ্যা। শত্রুদের গোলাবর্ষণে সামরিক অবকাঠামো ও ঐতিহাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নাগোরনো-কারাবাখ কর্তৃপক্ষ এর আগে দাবি করে, আর্মেনীয় বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলায় ব্যবহৃত গানজা সামরিক বিমানবন্দর ধ্বংস করা হয়েছে। তাদের রাজধানীতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শহর হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন।