বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যকার যুদ্ধে দ্বিতীয় দিনে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে। রবিবার শুরু হওয়া এই সংঘাতে উভয়পক্ষের অন্তত ৬৭ জন নিহত হয়েছেন বলে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা’র খবরে বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইরান ও ইউরোপীয় শক্তিগুলো লড়াই থামিয়ে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে।
১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়। কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভেতরে হলেও ইয়েরেভান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। মূলত এ নিয়েই সংঘাতের সূত্রপাত।
নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘ বিবাদের জেরে ২৭ সেপ্টেম্বর রবিবার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। আজারবাইজানের ভূখণ্ড হলেও আর্মেনিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। নতুন করে সংঘাতের জন্য আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান একে অপরকে দায়ী করেছে।
নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭
বেসামরিকসহ সংঘাতে লিপ্ত পক্ষগুলোর নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ জনে। বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত কারাবাখের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধে তাদের আরও ২৭ জন সেনা নিহত হয়েছে। এর আগে ২৮ জন নিহতের কথা জানানো হয়েছিল। এখন পর্যন্ত তাদের মোট নিহতের সংখ্যা ৫৮।
এছাড়া আজারবাইজান ও আর্মেনীয় পক্ষের ৯ বেসামরিক নিহত হয়েছেন। এদের আজারবাইজানের ৭ জন ও আর্মেনিয়ার ২ জন। আজারবাইজানের কোনও সেনা নিহতের কথা জানা যায়নি। তবে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রকা করা একটি ভিডিওতে জ্বলন্ত সাঁজোয়া যান থেকে দগ্ধ ও রক্তাক্ত সেনাদের নামতে দেখা গেছে। বলা হয়েছে, এরা আজারবাইজানি সেনা।
বিচ্ছিন্নতাবাদীরা জানিয়েছে, তাদের আহতের সংখ্যা শতাধিক এবং আর্মেনীয় কর্তৃপক্ষ দুই শতাধিক আহতের কথা কথা জানিয়েছে।