সৌদি আরব থেকে ছুটিতে আসা প্রবাসীদের টিকেট বিতরণে তথ্যগত বিভ্রাটের কারণে জটলা বেশি বলে জানিয়েছেন বিমান অফিসের সামনে অপেক্ষমান প্রবাসীরা। রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকেই প্রবাসীরা ভিড় জমাতে শুরু করে মতিঝিলের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অফিসে।
সরেজমিনে প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল ১০টার কিছু পরে শুরু হয় বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কার্যক্রম। গেট খোলার পর হুড়মুড় করে বিমান অফিসে প্রবেশ করে অন্তত হাজার খানেক প্রবাসী। এরপর গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাদের দাবি, এই ভিড়ের মধ্যে অন্য এয়ারলাইন্সে আসা প্রবাসীরাও টিকেটের জন্য প্রবেশ করছে। এছাড়া কোন তারিখের রিটার্ন টিকেট ইস্যু কবে করা হবে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রবাসীরা না জানায় জটলা বেশি।
চাঁদপুর থেকে আসা প্রবাসীকর্মী হেলাল জানান, তিনি ১৪ বছর ধরে কাজ করেন সৌদি আরব। গত জানুয়ারিতে ছুটিতে দেশে আসেন। তার রিটার্ন ফ্লাইট ছিল ২৬ মার্চ। তিনি বলেন, ‘বিমান অফিসের মাইকের মাধ্যমে বাইরে বলছে ১৪ তারিখ থেকে ২০ তারিখের রিটার্ন টিকেট যাদের আছে তাদের যেতে। এখানে অনেকেই আছে যারা অনেক আগে এসেছে আবার অনেকেই আছে পরে এসেছে। সবাই যাচ্ছে ভেতরে। কেউ কেউ নাকি ২১ তারিখের টিকেট নিয়ে যাচ্ছে। বিমান থেকে যদি আগে মিডিয়ার মাধ্যমে বলা হতো কবে কোন তারিখের রিটার্ন টিকেট দেওয়া হবে তাহলে জটলা হতো না।’
আরেক প্রবাসী আক্তার হোসেন জানান, ‘তিনি পাঁচ দিন ধরে ঘুরছেন টিকিটের জন্য। কিন্তু কোন দিনের টিকেট কবে দেওয়া হবে তিনি জানেন না। সেটা জানতেই চাঁদপুর থেকে ঢাকায় এসেছেন। তিনি মনে করেন তার মতো অনেক প্রবাসী আছেন এখানে যারা সঠিক তথ্য জানেন না।’
এদিকে বিমান অফিস জানিয়েছে প্রথমে ১৬ মার্চে বাতিল হওয়া ফ্লাইটের টিকিট রি-ইস্যু করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ১৭, ১৮, ১৯, ২০ মার্চ এভাবে তারিখ ধরে ধরে সিরিয়ালি টিকিট রি-ইস্যু করা হবে। কিন্তু কবে কোন তারিখের টিকেট ইস্যু করা হবে এই সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
উৎসঃ বাংলা ট্রিবিউন