ক্রেতা দেশে রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিন ব্যবহার করার পর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তার আইনগত দায় নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির উদ্ভাবকেরা। ভ্যাকসিনের অর্থ জোগান দাতা মস্কোর রাষ্ট্রীয় তহবিলের প্রধান কিরিল দিমিত্রিয়েভ জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সব দায় ক্রেতাদের নিতে হবে না, খানিক অংশ উদ্ভাবকেরাও নেবেন।
তবে কোন কোন ক্রেতাদের রাশিয়া আংশিক দায় নিতে বলবে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি দিমিত্রিয়েভ। এছাড়া দায় পরিশোধের শর্ত নিয়েও বিস্তারিত কিছু জানাননি।
বলা হচ্ছে, বহু ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেই এর দায় এড়াতে চান উদ্ভাবকরা। যেসব দেশের কাছে এসব ভ্যাকসিন বিক্রি করা হয় তাদের কাছে দায়মুক্তির দাবি করে ক্ষতিপূরণ দাবি থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা চান উদ্ভাবকরা। তবে এ ক্ষেত্রে রাশিয়ার এমন সিদ্ধান্তে ভ্যাকসিন ব্যবহারের পর অপ্রত্যাশিত কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ব্যয়বহুল ক্ষতিপূরণের দাবির মুখে পড়বে এর উদ্ভাবকেরা।
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের জন্য বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন মানুষের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে রাশিয়া ‘স্পুটনিক-ভি’ নামের ভ্যাকসিনটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার দায় নেওয়ার বাজার দখলের লড়াইয়ে অনেক এগিয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রুশ ভ্যাকসিনটির অর্থ জোগানদাতা রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের প্রধান কিরিল দিমিত্রিয়েভ বলেন, নিজেদের ভ্যাকসিন নিয়ে রাশিয়া এত আত্মবিশ্বাসী যে তারা পূর্ণ দায়মুক্তি চায় না, আর এটিই পশ্চিমা অন্য যেকোনও ভ্যাকসিনের সঙ্গে এর বড় পার্থক্য গড়ে দেবে।’ তিনি বলেন, সেগুলোর প্রত্যেকটিই আইনগত ঝুঁকি থেকে পূর্ণ দায়মুক্তি চায়।
এদিকে রাশিয়ার কাছ থেকে পাঁচ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কেনা ব্রাজিলের বাহিয়া রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এসব ডোজের সব আইনগত ঝুঁকি রুশ কর্তৃপক্ষের।
রয়টার্স