আবদুল্লাহ আল মামুন: সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: স্থানীয় প্রশাসনের তদারকি না থাকায় দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে এসব নিম্নমানের বেকারির দোকান ও কারখানা। এদিকে এসব বেকারিগুলি বিএসটিআই’র অনুমোদন না থাকায় প্রতি মাসে সরকার কয়েক লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া একদিকে নিয়মিত প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা অন্যদিকে নিম্নমানের খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন বেকারি মালিকরা।
যদিও স্থানীয় সচেতন মহলের প্রতিনিধিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অনুমোদহীন এসব নিম্নমানের বেকারি পণ্য তৈরি নিষিদ্ধ ও অবৈধ দোকান বন্দের জন্য জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও আজ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষ এবিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তারা জানান, অবিলম্বে এসব অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ না হলে এলাকার জনস্বাস্থ্য চরম হুমকির মুখে পড়তে পারে।
সরেজমিনে ঝাউডাঙ্গার সাতক্ষীরা ফুডস বেকারিসহ কয়েকটি বেকারি ঘুরে দেখা গেছে, বেকারির উৎপাদিত পণ্যের মান নির্ধারণের জন্য সরকারের বিএসটিআই‘র অনুমোদন নেয়ার নিয়ম থাকলেও কোন বেকারিই বিএসটিআই’র অনুমোদন নেই। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর, নোংরা ও স্যাঁতস্যাতে পরিবেশে নিম্নমানের আটা-ময়দা দিয়ে কেক, বিস্কুট, রুটি, মিষ্টি, লাড্ডু, শিশু খাদ্যসহ বিভিন্ন বেকারী পণ্য তৈরি হচ্ছে। মানা হচ্ছে না বিএসটিআই’র নীতি-মালা।
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, বিষাক্ত কেমিক্যাল ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরী করা এসব খাবারের কারনে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি হতে পারে। এসব খাদ্য খেলে পেটব্যাথা, শরীর দূর্বলসহ কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষের অকাল মৃত্যু হতে পারে। তারা এসন মানহীন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এবিষয়ে জানতে ঝাউডাঙ্গা বাজারের ‘সাতক্ষীরা ফুডস’ বেকারি মালিক শামিম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বেকারি পন্য তৈরীর সময় সব নিয়ম-নীতি মানা সম্ভব হয় না। অধিকাংশ বেকারিতেই একই অবস্থা দাবি করে তিনি বলেন, এসব বিষয় বাজার তদারকির দায়ীত্বে থাকা কর্মকর্তারাও জানেন। এছাড়া এসব তদারকি কে করবে ? আমার এক ভাই পুলিশ অফিসার ও আর এক ভাই ডাক্তার তারা বললে তো কেউ কিছুই করতে পারবে না।