তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। অথচ তার ঢাকার বিভিন্ন স্থানে একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি, ফ্ল্যাট ও গাড়ি রয়েছে। নামে-বেনামে ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা। আর এ সবই অর্জন করেছেন অবৈধ পন্থায়।
তার নাম আব্দুল মালেক। তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক। রবিবার ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে তাকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল শাফি উল্লাহ বুলবুল সংবাদমাধ্যমকে জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আব্দুল মালেককে আটক করা কয়। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
আটকের সময় আব্দুল মালেকের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল টাকা, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১- এর অধিনায়ক বলেন, আব্দুল মালেক স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলের একজন চালক। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, জাল নোট ব্যবসাসহ অস্ত্রের মাধ্যমে ভীতি প্রদর্শনপূর্বক সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মচারী হলেও মালেক ছিলেন প্রভাবশালী। তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অধিদপ্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ-বদলি বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, তুরাগ এলাকায় আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে জাল টাকাসহ, চাঁদাবাজি, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরে র্যাব তদন্ত করে জানতে পারে, আব্দুল মালেক তুরাগ থানার বিভিন্ন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। তার ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে পারেনি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা এবং জাল টাকার ব্যবসা করে আসছেন।