মোঃ রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুন-জখমের মতো ঘটনা ঘটেছে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন সাদিপুর গ্রামে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি আছেন জনি আহমেদ(২৫) নামের একজন। আহত জনি সাদিপুর গ্রামের দাউদ মোড়লের ছেলে৷
এ ব্যাপারে দাউদ মোড়ল বাদী হয়ে চারজন আসামির বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন৷ এদের মধ্যে ইতোমধ্যে ২জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পোর্ট থানা পুলিশ৷ মামলার আসামীরা হলেন, সাদিপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ আলী আহমেদ নেদা(৪৫), মৃত খোদা বক্সের ছেলে ফারজেল,মৃত আবুল হোসেনের ছেলে ভুট্টো, মোঃ ভুট্টোর ছেলে আবুবক্কর।
বেনাপোল পোর্ট থানা সুত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার(১২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাদিপুর গ্রামের আস্তানা নামক স্থানের দোকানদার মিলন এর সাথে ১নং আসামী মোঃ আলী আহম্মেদ নেদার সাথে কথা কাটাকাটি’র এক পর্যায় গোন্ডগোল বাধে সেই গোন্ডগোল ঠেকাতে সেখানে উপস্থিত দাউদ মোড়লের ছেলে জনি আহম্মেদ ছুটে আসলে উল্লিখিত ঐ ৪ জন আসামী তাদের হাতে থাকা গাছি দা দিয়ে জনি আহম্মেদ এর উপর আক্রমন চালায়। এলোপাতাড়ি চালানো দায়ের কোপ গিয়ে লাগে জনি’র চোখের উপর,এতে সে মারাত্মক জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মৃত ভেবে আসামী গন পালিয়ে যায়। ঘটনা স্থলে জড়ো হওয়া লোকজন জনি আহম্মেদ কে গুরুতর আহত অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতে ভতি করেন।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মামুন খান বলেন, আহত জনির বাবা বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন৷ ঘটনার সাথে জড়িত চারজন আসামির মধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুইজন পলাতক বাকি দুই জন আসামিকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।