মোঃ রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি: বেনাপোল পৌর শহরকে সৌন্দর্য্য করে তুলতে ২০১২ সালে বেনাপোল পৌরসভার উন্নয়ন বাজেটের আওতায় বেনাপোল পৌর সড়ক গুলিতে সোডিয়াম বাতি প্রজ্বলন, সড়ক গুলো শোভা বর্ধনে ফুলের টব বসানো,নির্মীত বিজ্ঞাপন বোর্ড গুলি সংরক্ষনে তাঁর কাটা রোল দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হয়। বাজারের বলফিল্ড এলাকা থেকে শুরু করে সীমান্তের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার ব্যাপী। নতুনত্ব অবস্থায় আইল্যান্ড পরিচর্যার কাজে জোর দেওয়া হলেও দিন দিন পৌর কর্তৃপক্ষের অযত্ন এবং অবহেলায় দীর্ঘ এই আইল্যান্ডটি ভগ্ন দসার সৃষ্টি হয়েছে। আইল্যান্ডের ইটগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে রাস্তার উপর, সিমেন্টের তৈরী অধিকাংশ ফুলের টব গুলি ভেঙ্গে চুড়মার হয়ে গেছে,ভারী যানবাহনের ধাক্কায় কাঁটা তারের বেড়াও রাস্তার দু ধার হয়ে যত্রতত্র পড়ে আছে।
যান চলাচলসহ সাধারন মানুষ পায়ে হেটে রাস্তা পারাপারে ঝুকির মধ্যে পড়ে যায়। এগুলি মেরামত কিংবা দেখভালে বেনাপোল পৌরকর্তৃপক্ষের কোন নজর দারী নেই বললেই চলে। অথচ এ সকল পরিছন্ন এবং পরিচর্যার কাজে নিয়জিত রাখা হয়েছে পরিছন্নকর্মী বাহিনী।পৌর কর্তৃপক্ষের অনিহার কারনে পরিছন্ন কর্মীরাও অলস সময় পার করে কাটিয়ে দিচ্ছেন। তাহলে শোভা বর্ধনে নামে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায় করা হলো কার স্বার্থে? শুধু মাত্র পৌর কর্তৃপক্ষের দ্বায়িত্ব এবং অবহেলার কারনে নস্ট হতে চলেছে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মিত এই সব শোভা বর্ধনকারী জিনিস পত্র।
জীবন ঝুঁকির এই এমন পরিস্থিতিতে ছুটে এসেছে বেনাপোল পৌর ছাত্রলীগ এবং শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগ। তারা শার্শা উপজেলার সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিনের নির্দেশে বিনা পারি শ্রমিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আইল্যান্ড পরিছন্নের কাজে। শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম সর্দারের নেতৃত্বে বেনাপোল পৌর ছাত্রলীগ এর সাবেক সভাপতি আল ইমরান ও বর্তমানে সাধারন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, সিনিয়র সভাপতি জহির রায়হান,অনিক, সুজন, মিন্টু, ফয়েজুল্লাহ মোড়ল, অরেঞ্জ, বিশাল, রাব্বি।এ ছাড়াও এ কাজে পৌরছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে সহযোগীতা করে ভবের বেড় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারন সম্পাদক মারুফুল হক দিপু,সহ-সভাপতি শান্ত,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সাব্বির, তাছিন, রকি, বাপ্পী, আরিফুল, সুমন, পিপুল, হাসিব, সাদিক,আমান,হৃদয়, বিপ্লব ও অনিক।
বেনাপোল এবং শার্শা ছাত্রলীগের এমন উদ্দ্যোগ কে স্বাগত জানিয়েছেন বেনাপোল পৌরবাসী।তারা বেনাপোল পৌর কতৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা উদসিনতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।