বিদেশি শ্রমিকদের ভিসা ও আবাসিক অনুমোদনের মেয়াদ বাড়িয়েছে সৌদি আরব। এজন্য কোনো বাড়তি ফি দিতে হবে না। এর ফলে সুবিধা পাবেন শ্রমিক ও গৃহকর্মে নিয়োজিতরা। করোনায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকার কারণে যেসব শ্রমিক সৌদি আরবে ফিরতে পারেননি তারা এ সুবিধা পাবেন। ভিসা ও আবাসিক অনুমোদন বাড়ানো হয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আরব নিউজের খবর।
খবরে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে বিদেশে আটকে পড়া অভিবাসীদের ‘রি-এন্ট্রি ভিসা’র বৈধতার মেয়াদ বাড়িয়েছে সৌদি আরবের জেনারেল ডিরেস্টরেট অব পাসপোর্ট (জাওয়াজাত)। এক মাসের মতো এ বর্ধিত মেয়াদে কোনো ফি নির্ধারণ করা হয়নি। সৌদি আরবে অবস্থানকারী বিদেশি, যাদের আগমন কিংবা বহির্গমন ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তারা এ সুযোগ নিতে পারবেন। এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ নিষিদ্ধ থাকার ফলে অনেক মানুষ বিদেশে আটকা পড়েছেন। তারা সৌদি আরবে ফিরতে পারেননি যথাসময়ে। ফলে এ নীতি কার্যকর হবে বিদেশি শ্রমিক ও গৃহকর্মে নিযুক্ত শ্রমিকদের জন্যও। এ ছাড়া যেসব বিদেশি সৌদি আরব ত্যাগ করতে পারেননি অথচ তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তারাও এ সুযোগ নিতে পারবেন ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে বাণিজ্যিক পেশায় কর্মরত যেসব বিদেশি সৌদি আরবে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন তারাও এ সুযোগ নিতে পারবেন ইকামা বর্ধিতকরণসহ।
এ সময়সীমা বর্ধিতকরণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টারের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে। সম্প্রতি জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে ভার্চুয়াল মিটিং হয় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করা নিয়ে। এর ৪ দিন পরে সৌদি আরব এমন সিদ্ধান্ত প্রকাশ করল। সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেছেন, এর ফলে জি-২০ এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে। ১৫ মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত করে সৌদি আরব। জুনে সৌদি আরবে করোনা সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে। এরপর প্রতিদিনের হিসাবে সংক্রমণের সংখ্যা কমতে শুরু করে। সোমবার সেখানে নতুন ৭৬৮ জন করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়। এ নিয়ে সৌদি আরবে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২১ হাজার ৪৫৬। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৪ হাজার ১০৭ জন।