কুড়িগ্রামে ধরলা নদীতে আবারও পানি বাড়ছে। সেই সাথে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। এরইমধ্যে ভাঙনে বিলীন হয়েছে ভিটেমাটি, গাছপালা ও আবাদী জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
এরমধ্যে ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের মেখলীরচর গ্রামে ভাঙনের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি। এখানে ভিটেমাটি, গাছপালা ও আবাদী জমি বিলীন হওয়ার পাশাপাশি ভাঙনের কবলে পড়েছে মসজিদ ও মেখলীরচর খন্দকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
দুর্গম এই চরাঞ্চলের গ্রাম মেখলীরচরের স্থানীয় কিছু বিদ্যানুরাগী ব্যক্তি উদ্যোগ নিয়ে ১৯৯০ সালে ৪০ শতাংশ জমিতে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। পরে রেজিস্টার্ড বিদ্যালয় হিসেবে এর কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে। এরপর ২০০০ সালে প্রায় ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ের একতলা পাকা ভবন নির্মিত হয়। ২০১৯ সালে ভবনটি পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়। এরপর ২০১৩ সালে সরকারিকরণ করা হয়। বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৯৫ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ৪ জন। এ এলাকায় এটিই একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এদিকে গত দু’দিনে ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় এই বিদ্যালয় ভবনের বাম দিকের অংশে নদী প্রবেশ করেছে। ফলে বিদ্যালয়ের একতলা পাকা ভবনটি পুরোপুরি বিলীন হওয়া সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম, ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল রাজিব, পাউবো’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার এরশাদুল হক ভাঙন কবলিত বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছেন। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সবুর আলী উপস্থিত ছিলেন।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিদ্যালয়টির আসবাবপত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আর ভবনটির বিষয়ে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, এখানকার ভাঙন রোধে জরুরি প্রতিরক্ষা কাজের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।