মোঃ রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোরের শার্শার গোগা আমলার মাঝের পাড়া রফিকুলের বাড়ির সামনের পাকা রাস্তার উপর থেকে সোমবার রাত ৮ টার দিকে মাদকচক্রের চালানের খবর পেয়ে শার্শা থানার এএসআই রবিউল সঙ্গীয় ফোর্স বাদে সোর্স নিয়ে মাদকের চালানটি আটক করার অভিযান চালান তিনি।
এসময় ১০০ বোতল ফেন্সিডিল,কালো রঙের পালসার যার নং(যশোর ল ১৩:৩৭৮৯)ও একটি বাইসাইকেলসহ ৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
মাদক ব্যবসায়ীদের আটকের পর হ্যান্ডক্যাপ পড়িয়ে এএসআই রবিউল ও সোর্স মাদক গণনা করতে ব্যস্ত হয়ে গেলে সুযোগ বুঝে হ্যান্ডক্যাপসহ ঐ তিনজন মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত(১৫ঘন্টা) হ্যান্ডক্যাপসহ আসামিদ্বয়কে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
এর আগেও শার্শা থানার অন্তর্গত পুলিশের হাত থেকে আসামি পলায়নের অভিযোগ পাওয়া যায়।
গত রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শার্শা উপজেলার ছোট নিজামপুর গ্রামে মাদকের অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে দুই মাদক ব্যবসায়ী হ্যান্ডক্যাপসহ পালিয়ে যায় ও এক পুলিশ কর্মকর্তার গুলিসহ অস্ত্র পথের মধ্যে হারিয়ে যায়। পরে স্থানীয় গ্রামবাসিরা সহযোগিতা করে প্রায় পৌণে ১ ঘন্টা পরে ঐ দু’মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। এদিকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর ঐ হারিয়ে যাওয়া গুলিসহ অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
গত ১৪ জুলাই সকাল দশটায় বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্তকেন্দের এএসআই আকবারের হাত থেকে মাদক ব্যবসায়ী হ্যান্ডক্যাপসহ পালিয়ে যাওয়ার ৮ ঘন্টা পর উদ্ধার করা হয়েছিলো।
এহেন ঘটনা বার বার ঘটছে কেন ও আসামিসহ হ্যান্ডক্যাপ উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে,শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল আলম বলেন,হ্যান্ডক্যাপসহ আসামি উদ্ধারের কাজ অব্যাহত আছে,আমি স্পটে আছি। একটু পরে ফোন দেন বলে ফোন কেটে দেয়।
নাভারন সার্কেল এএসপি জুয়েল ইমরানের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।