ময়মনসিংহে সবার সামনে দুই শিশু-কিশোরকে গাছের সাথে বেঁধে দিনভর নির্যাতন করা হয়েছে। এলাকাবাসীর অনেকেই ঘটনা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছেন। সাহায্যে এগিয়ে আসেনি কেউ। নির্যাতনের অভিযোগে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে আব্দুল জলিল নামে আরেক অভিযুক্ত এখনো পলাতক রয়েছে।
মোবাইল চোর সন্দেহে গাছের সাথে বেঁধে পেটানো হয় দুই শিশু ও কিশোরকে। বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ সদরের চর ভবানিপুর এলাকায় দিনভর আটকে রেখে চলে নির্যাতন। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউই তাদের রক্ষায় এগিয়ে আসেনি।
স্থানীয় প্রভাবশালী গোলাম মোস্তফার গোলাম মোস্তফার মেয়ের মোবাইল চুরি হয় গত বুধবার। চোর সন্দেহে পরদিন ভোরে একই এলাকার কিশোর ফয়সাল ও শিশু রাকিবকে ধরে আনা হয় ছফির উদ্দিনের বাড়িতে। পরে তাদের গাছের সাথে বেঁধে চালানো হয় নির্মম নির্যাতন। বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় তাদের। ফেরাতে গেলে শিশু-কিশোরের স্বজন নারীদের ওপরও হাত তুলে নির্যাতনকারীরা। দিনভর নির্যাতনের পর সন্ধ্যায় কিশোর ফয়সালকে তুলে দেয়া হয় পুলিশের হাতে। ফয়সালের মা, ফাতেমা খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলেডারে কাচা বাঁশ দিয়ে বাইড়াত বাইড়াতে রক্ত ছুডাইয়া ফেলছে। আমার ছেলেডারে যারা পিডাইছে তাদের বিচার চাই।’
রাকিবের মা কমলা খাতুন বলেন, ‘আমার পোলাডারে অনেক পিডান পিডাইছে।’ নির্যাতনের এমন ঘটনায় জড়িতদের বিচার চান স্থানীয়রা।
নির্যাতনের ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়েছে। আরেক অভিযুক্ত ওয়াজ উদ্দিনকে আটকের জন্য অভিযান চলছে বলে জানান ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ তালুকদার।
নির্যাতনের ঘটনায় কিশোর ফয়সালের মা বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৯ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।