বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষা ফি সাধারণ মানুষের সমান করার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। তিনি বলেন, দেশের সাধারণ নাগরিকরা যেই ফি দিয়ে পরীক্ষা করাতে পারছেন, বিদেশগামীরা বা প্রবাসীদের জন্য একই ফি নির্ধারণ করা উচিত। প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকারি সেবার ক্ষেত্রেও অন্যদের মতো সমান সুযোগ তাদেরও থাকা উচিত।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট ) সকালে এ কথা বলেন মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
গত ১২ জুলাই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিদেশগামীদের জন্য করোনাভাইরাস পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। সে সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ৩৫০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়। এরপর ৩০ জুলাই আরেক বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। মন্ত্রী ইমরান আহমদ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠান। চিঠিতে তিনি প্রস্তাব করেন সাধারণ নাগরিকরা যেই টাকা ফি দিয়ে করোনা পরীক্ষা করাতে পারছেন বিদেশগামীদের জন্য যেন একই ফি নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে দেশে সাধারণ নাগরিকরা সরকারি প্রতিষ্ঠানে ১০০ টাকায় করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে পারছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রীর প্রস্তাবের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিদেশগামীদের জন্য ফি পুনঃনির্ধারণ করে। ৩৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৫০০ টাকা করা হয়। ২৪ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এর প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, “আমার প্রস্তাব ছিল সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যেই ফি নেওয়া হচ্ছে বিদেশগামীদের কাছ থেকেও যেন একই ফি নেয়া হয়। সেই হিসেবে এখন যেহেতু সাধারণ নাগরিকরা ১০০ টাকা ফি দিয়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে পারছেন বিদেশগামীদের জন্যেও ১০০ টাকা করা উচিত।”
মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, “প্রবাসীরা কষ্ট করে টাকা উপার্জন করে দেশে পাঠায়। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সে দেশের অর্থনৈতিক চাকা গতিশীল রয়েছে। করোনাভাইরাস এর প্রভাবের মধ্যেও প্রবাসীরা রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। আমরা সবসময় চেষ্টা করছি প্রবাসীদের কল্যাণে, তাদের স্বার্থে নানা পদক্ষেপ নিতে।”
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, “প্রবাসীদের কল্যাণে এখন জীবন বীমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেখানে যেই প্রিমিয়ামের টাকা দিতে হয়, তার অর্ধেক সরকার বহন করছে। রেমিটেন্স এর ওপর ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিদেশ ফেরতদের সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও করোনাভাইরাসে বিদেশে কোনো বাংলাদেশি কর্মীর মৃত্যু হলে তার পরিবারকে তিন লাখ টাকা সহায়তা দেয়া হবে। এসবই করা হচ্ছে প্রবাসীদের মর্যাদা যাতে বৃদ্ধি পায় সেজন্য।”