করোনা পরীক্ষার ফি কমিয়ে পরিপত্র জারি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ডা. বিলকিস বেগম স্বাক্ষরিত এই পরিপত্রে জানানো হয়, বুথ ও হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী থেকে সংগ্রহ করা নমুনার জন্য ১০০ টাকা এবং বাসা থেকে সংগ্রহ করা নমুনার জন্য ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে যেটা ছিল যথাক্রমে ২০০ ও ৫০০ টাকা।
যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে উল্লেখ করে পরিপত্রে বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা, দুস্থ ও গরিব রোগীদের চিকিৎসা ও রোগ নির্ণয়, পরীক্ষা-নিরীক্ষা সংক্রান্ত সরকারি আদেশ বলবৎ থাকবে।
প্রসঙ্গত, শুরু থেকেই করোনার পরীক্ষা হচ্ছিল বিনামূল্যে। কিন্তু গত ২৯ জুন থেকে করোনার পরীক্ষা করার জন্য ফি নির্ধারণ করে দেয় সরকার। সেসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছিলেন, ‘সরকারের অনেক খরচ হচ্ছে। একটা টেস্ট করতে বেসরকারিভাবে আমরা বেঁধে দিয়েছি তিন হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু আসলে ল্যাব বসানোর খরচ, যন্ত্রপাতির খরচ এগুলো যদি ধরা হয় আরও বেশি পড়ে সেক্ষেত্রে। এখন তো টেস্টের সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ হাজারের কাছে চলে গিয়েছে, প্রতিদিন অনেক টাকা খরচ হয়।’
আর গত ২৮ জুন ফি নির্ধারণ করে দেওয়ার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) টেস্ট বিনামূল্যে হওয়ার ফলে অধিকাংশ মানুষ উপসর্গ ছাড়াই পরীক্ষা করার সুযোগ গ্রহণ করছে। এমন পরিস্থিতিতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য অপ্রয়োজনীয় টেস্ট পরিহার করার লক্ষ্যে ফি নির্ধারণ করেছে সরকার। তাতে হাসপাতালে গিয়ে নমুনা জমা দিলে ২০০ আর বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করলে ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার।
করোনা পরীক্ষা করাতে ফি ধরার কারণে টেস্ট কমে গিয়েছিল মন্তব্য করে বুধবার (১৯ আগস্ট) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, জনগণের দিকে তাকিয়ে ফি কমানো হলো। ফি কমানোর ফলে টেস্ট বাড়বে।