ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে সর্বশেষ স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ‘আল-বিদা’। এর ৮ ঘণ্টা পরই বিদায় নিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী ইমাম হোসাইন।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়িতে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে তিনি আত্মহত্যা করেন।
ইমাম হোসাইনের বাড়ি বরিশাল জেলার উজিরপুর থানায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। থাকতেন কবি জসীম উদদীন হলে।
কবি জসিম উদ্দীন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুর রশিদ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। সে তার গ্রামের বাড়িতে আত্মহত্যা করেছে।
ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করার আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক একাউন্টে ‘আল বিদা’ লিখে সঙ্গে ভাঙা লাভ ইমোজ জড়িয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। এই ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তার আত্মহত্যার বিষয়ে পরবর্তীতে আঁচ করতে পারলেও কোন শুভাকাঙ্ক্ষী, বন্ধু-বান্ধব তা প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারেনি।
তার একাধিক কাছের বন্ধুর কাছ থেকে জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্রেশনে ছিলেন। কি কারণে ডিপ্রেশনে ছিলেন জানতে চাইলে তারা জানান, প্রেমঘটিত সমস্যার কারণে সে আত্মহত্যা করেছে। মেয়ের বাবা তাকে একটু কটুকথা বলেছিলো। পাশাপাশি ওই মেয়েও আগের মতো তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতো না। এই কারণে তার মাঝে ডিপ্রেশন চলে আসে।
বন্ধুরা জানায়, প্রতিদিন তার কাছে কিছু স্থানীয় শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়তে আসতো। তারই ধারাবাহিকতায় আজ ওই শিক্ষার্থীরা সকাল আটটার সময়ে আসলে ইমাম হোসাইন জানায়, তোমাদের তো অনেক দিন ধরে কোন ছুটি দিচ্ছি না। একটু রেস্ট নেওয়া দরকার। তোমরা আগামী দুই দিন প্রাইভেটে এসো না। একথা বলার পর তারা চলে যায় এবং সে বাসার সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। আমরা রিলায়েবল সোর্স থেকে তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা এই বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের প্রক্রিয়াতে আছি। সত্যি যদি এটি হয়ে থাকে তাহলে একটি মর্মান্তিক এবং সাংঘাতিক বেদনাদায়ক। আমাদের মেধাবী ছাত্রদের এখন বেঁচে থাকার সময়। এটি সত্যিই অনেক দুঃখজনক।