জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এক গাইনি চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় হাসপাতালের আবাসিক কোয়ার্টার থেকে ডা. সুলতানা পারভীন (৩৭) নামে ওই চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস জানান, ডা. সুলতানা পারভীন প্রায় চার বছর আগে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনী বিশেষজ্ঞ হিসেবে যোগদান করেন। মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ভবনের একটি কক্ষে বসবাস করেই তিনি সেখানে তার দায়িত্ব পালন করতেন।
তিনি বলেন, রবিবার সারাদিন কর্মস্থলে না আসায় বিকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফরা তার আবাসিক ভবনে খোঁজ নিতে গেলে কক্ষের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পান। অনেক ডাকাডাকির পরও কোন সাড়া না পেয়ে তারা মেলান্দহ থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সুলতানা পারভীনের কক্ষের তালা ভেঙ্গে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহতের পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে এবং তার ছোট বোন জামালপুর আসছেন।
এ ব্যাপারে জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রাণী সরকার জানান, ওই চিকিৎকের মৃতদেহের পাশ থেকে ৫টি ব্যবহৃত পেথেড্রিন ও একটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে। ডায়েরিতে থাকা লেখা পড়ে অনুমান করা হচ্ছে মানসিক অবসাদ থেকে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
সুলতানা পারভীন ৩০তম বিসিএসের মেডিকেলের (গাইনি) ছাত্রী ছিলেন। তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া এলাকার আলাউদ্দিন আজাদের কন্যা। তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুরের ২৮/এ নম্বর বাসা, রোড নং-৩, মোহাম্মদী আবাসিক এলাকায় থাকতেন। তিনি মেলান্দহ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি অবিবাহিত ছিলেন।