ইতালিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অবিলম্বে প্রত্যাহার ও দূতাবাসকে দালালমুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সোমবার দেশটির রাজধানী রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের স্থায়ী ভবনের সামনে ‘দালাল নির্মূল ও দূতাবাস দুর্নীতি মুক্তকরণ কমিটি’র উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর উক্তি, ‘যেখানেই অন্যায় অবিচার দেখাবে সেখানেই চরম আঘাত আনবে’ এই স্লোগানে প্রায় অর্ধশতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশির মানববন্ধনে অংশ নেন।
এ সময় মানববন্ধন থেকে ইতালিতে বৈধতা পেতে ১০ আগস্টের মধ্যে অনিয়মিত অভিবাসীদের পাসপোর্ট সমস্যা সমাধান, সম্প্রতি ইতালিফেরত ১২৫ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা, দূতাবাসে এপয়েন্টমেন্ট ছাড়া টোকেনভিত্তিতে সেবা প্রদান, চিহ্নিত পাসপোর্ট দালালদের দূতাবাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ ও দালালদের সহায়তাকারী দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অপসারণসহ ১১ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
এ সময় ইতালি আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম এ রব মিন্টু বলেন, আন্দোলন দূতাবাসের বিরুদ্ধে নয়, দূতাবাসে কর্মরত অসৎ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও দালালদের বিরুদ্ধে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার যোগসাজশে দূতাবাস দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দূতাবাসকে দুর্নীতিমুক্ত না করা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলমান থাকবে বলেও জানান ইতালি আওয়ামী লীগের এ নেতা।
তবে চলমান এ মানববন্ধন নিয়ে ইতালিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবাহান সিকদার স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘এভাবে মানববন্ধন করে দুর্নীতির অভিযোগ জানানো যায় না। সুনির্দিষ্ট তথ্য উল্লেখ করে দূতাবাসে লিখিতভাবে জানালেই আমরা ব্যবস্থা নিতে পাড়ি।’
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘দুর্নীতি বা দালালদের সাথে দূতাবাসের সম্পর্ক কি সেটা আমি বুঝতে পারছি না। তবে আমি যতটুকু শুনেছি ইতালি আওয়ামী লীগের আসন্ন সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলীয় বিবাদের সৃষ্টি হয়েছে, আর সেটার দায়ভার নিয়ে এসেছে দূতাবাসের উপর। দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী অত্যন্ত প্রবাসীবান্ধব। তারা প্রবাসীদের সেবা দিতে সবসময়ই নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। অনিয়মত প্রবাসীদের নিয়মিত করার ঘোষণা আসার পর দূতাবাসের উপর কাজের অনেক চাপ পড়েছে। এই চাপ সামলাতে দূতাবাস বন্ধের দিনেও কাজ করে যাচ্ছে।’
উৎসঃ ইত্তেফাক