প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি বলেন, বিদেশ ফেরত কর্মীরা অভিজ্ঞতার বিবেচনায় দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য। মন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু, সুশৃঙ্খল, নিয়মিত ও দায়িত্বশীল শ্রম অভিবাসন নিশ্চিত করতে সকল অংশীজনকে একযোগে কাজ করতে হবে। প্রবাসী কর্মীদের সামগ্রিক কল্যাণে সরকারের উদ্যোগসমূহ তুলে ধরে তিনি জানান, সরকার বিদেশগামী কর্মীদের জন্য জীবন বীমায় ভর্তুকি প্রদান, প্রবাসী কর্মীর সন্তানদের জন্য বিদেশে স্থাপিত বাংলা স্কুলে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান, রেমিটেন্স প্রেরণের ক্ষেত্রে ২% প্রণোদনা প্রদান করছে।
রবিবার ( ২৬ জুলাই) সকালে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় শ্রম অভিবাসন ফোরামের ২য় সভা (অনলাইন জুম-এর মাধ্যমে) অনুষ্ঠিত হয়। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী কর্মীদের জরুরী খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা এবং দেশে অবস্থানরত তাদের পরিবারের বিপদগ্রস্ত সদস্যদের সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত বিদেশ ফেরত কর্মীদের পুনর্বাসন ও পুনঃ একত্রীকরণের জন্য ৭০০ কোটি টাকার তহবিল গঠনসহ বিভিন্ন ধরণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর আওতায় কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত বিদেশ ফেরত কর্মীদের ৪% সরল সুদে বিনিয়োগ ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, সভার শুরুতে মন্ত্রী কোভিড-১৯ এ মৃত প্রবাসী কর্মীদের আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
সভায় শ্রম অভিবাসন সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের কাজে সমন্বয়ের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে সরকারী সংস্থা, এনজিও ও আন্তর্জাতিক সংস্থার অংশীজনদের নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান নীতি 2016 এর আওতায় গঠিত ছয়টি সাব-কমিটি নিয়মিতভাবে আলোচনা করে নীতি বাস্তবায়নের কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সঞ্চালনায় উক্ত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বায়রা’র সভাপতি বেনজীর আহমদ এমপি, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো’র মহাপরিচালক মোঃ সামছুল আলম, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মোঃ হামিদুর রহমান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাদিজা বেগম, যুগ্ম সচিব নাসরীন জাহান, আইওএম বাংলাদেশ এর চীফ অব মিশন গিওরগি গিগারিও, আইএলও এর কান্টি চীফ টুমো পুটেইনেন, ইউএন উইমেন এর প্রোগ্রাম এনালিস্ট তপতী সাহা, সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট এন্ড কো-অপারেশন এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাজিয়া হায়দার, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মাইগ্রেশন পলিসি ডেভলপমেন্ট এর কান্ট্রি-কোঅর্ডিনেটর ক্যাপ্টেইন মোহাম্মদ ইকরাম হোসেন, ইউকেএইড-প্রকাশ এর টীম লিডার মি. জেরী ফক্স।