আকাশপথে ভ্রমণে যাত্রীদের মাঝে আস্থা ফেরাতে বিশ্বের প্রথম এয়ারলাইন হিসেবে এমিরেটস একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে। এই সংস্থার ফ্লাইটে ভ্রমণকালে কোনো যাত্রীর কভিড-১৯ শনাক্ত হলে তার চিকিৎসা বাবদ সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫০ হাজার ইউরো এবং কোয়ারেন্টিনের ক্ষেত্রে ১৪ দিনের জন্য প্রতিদিন ১০০ ইউরো করে ব্যয় করবে এয়ারলাইনটি।
ভ্রমণের শ্রেণি ও গন্তব্য নির্বিশেষে ভ্রমণকারী যে কোনো যাত্রী এই সুবিধা পাবেন। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই বিশেষ সেবা বহাল থাকবে।
ভ্রমণের পরও ৩১ দিন পর্যন্ত এই সুবিধা পেতে পারবেন যাত্রীরা। অর্থাৎ এমিরেটস গন্তব্যে পৌঁছার পর যদি যাত্রী অন্য কোনো গন্তব্যে ভ্রমণ করেন, তার ক্ষেত্রেও এই সুবিধা প্রযোজ্য হবে। তবে যাত্রীদের জন্য এই সুযোগ গ্রহণ বাধ্যতামূলক নয়।
এ প্রসঙ্গে এমিরেটস গ্রুপ ও এয়ারলাইনের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী শেখ আহমেদ বিন সাঈদ আল মাকতুম এক বিবৃতিতে জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ আহমেদের নির্দেশে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য ভ্রমণের আগে যাত্রীদের কোনো রেজিস্ট্রেশন কিংবা ফর্ম পূরণ করতে হবে না। ভ্রমণকালে পজিটিভ হলে যাত্রীদের শুধু স্বতন্ত্র হটলাইনে যোগাযোগ করতে হবে। হটলাইন নম্বরও অন্যান্য তথ্য এমিরেটসের ওয়েবসাইটে দেয়া আছে।
এছাড়াও ভ্রমণের প্রতিটি ধাপে যাত্রী ও স্টাফদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করছে এমিরেটস। যাত্রীদের বিনামূল্যে করোনা প্রতিরোধ হাইজিন কিট দেয়া হচ্ছে।
মহামারীতে কিছুদিন স্থগিত থাকার পর এমিরেটস বিশ্বের ৬০টির বেশি গন্তব্যে পুনরায় ফ্লাইট শুরু করেছে। ঢাকা থেকে সপ্তাহে ৪টি ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণকারীদের জন্য কভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক এবং পরীক্ষার জন্য ফ্লাইটের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নমুনা দিতে হবে।