মোঃ রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানাধীন এলাকায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে অন্তঃসত্ত্বা পুতুল রানী দাসের মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। নিহত অন্তঃসত্ত্বার মা পুষ্পরানী বাদী হয়ে আজ বৃহষ্পতিবার ঝিকরগাছায় মামলা দায়ের করা হয়েছেন। এদিকে বৃহষ্পতিবার সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। নিহতের স্বজনরা এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রদীপের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
আসামি প্রদীপ কাউনিয়া ঋষিপাড়ার কিশোর দাসের ছেলে। প্রতিবেশীর টিউবওয়েলে যাওয়া নিয়ে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কাউনিয়া ঋষিপাড়ার চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা পুতুল রানী দাসের সাথে তার স্বামীর মঙ্গলবার রাতে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে স্বামীকে ভালোবাসার প্রমাণ দিতে গিয়ে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন ওই নারী এবং পরের দিন চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। স্বজনদের অভিযোগ ঘটনার সময় তার স্বামী তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেনি। যে কারণে নিহতের মা বৃহষ্পতিবার বাদী হয়ে ঝিকরগাছা থানায় হত্যার অভিযোগে এজাহার করেছেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা পারিবারিক সহিংসতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে পুতুলকে হত্যা করেছে তার স্বামী প্রদীপ।
যশোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, তারা অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছেন এবং তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাতে এ ঘটনায় যৌক্তিক বিচার হয়। সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালে মরদেহ নিতে আসা পুতুল রানীর ঠাকুরদাদা মাধব দাস বলেন, প্রদীপ দীর্ঘদিন ধরে তার পুতনিকে নির্যাতন করে আসছিল। অনেকবার শালিস করা হলেও কোন ফল হয়নি। প্রতিদিন রাতে বাড়ি ফিরে পুতুলকে মারপিট করতো। এবার ওকে পুড়িয়ে মেরে ফেলল। আমি ওর ফাঁসি চাই।