বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করা এক কলারের ফোন পেয়ে মোংলার বাংলালিংক অফিস থেকে একটি দুর্লভ প্রজাতির তক্ষক উদ্ধার করে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত ‘জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯’এ একজন কলার মোংলার ১নং পাকা জেটি সংলগ্ন বাংলালিংক অফিস (সাজু আর্ট প্রেস এর ৩য় তলা) থেকে ফোন করে জানান, অফিসের গুনা দিয়ে তৈরী জানালার গ্রিলের সাথে পেচিয়ে দুর্লভ প্রজাতির একটি তক্ষত আটকে আছে। কলার ৯৯৯-এ ফোন করে পাখিটি উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়।
জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯’এর কলার বাংলালিংক অফিস মোংলা শাখার ম্যানেজার শেখ ফজলুল রশিদ বলেন, আমি জানালার পাশে তক্ষক টি দেখতে পেয়ে একটি নেটের মাধ্যমে আটকে ফেলি এবং পরে ৯৯৯ কল করে বিস্তারিত বলি।
তিনি আরও বলেন আমি জানি এই প্রাণী নিয়ে অনেক গুজব ছড়ানো হয়, তাই সাথে সাথেই ৯৯৯ কল করে সহযোগীতা চাই।
একইসঙ্গে তক্ষকটি উদ্ধার কাজে বণ্য প্রাণী পরিদর্শক আবদুল্লাহ আস সাদিক এর নির্দেশে বণ্য প্রাণী ফরেনসিক বিভাগের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী সাংবাদিক শেখ রাসেলকে বিষয়টি জানিয়ে উদ্ধারে সহায়তার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
পরবর্তীতে তক্ষকটি উদ্ধার করে চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবির’র প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবির জানান, জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে একজন জানান যে মোংলার বাংলালিংক অফিসে একটি তক্ষত দেখতে পান। পরবর্তীতে আমরা আমাদের প্রতিনিধি পাঠিয়ে তক্ষতটাকে নিয়ে আসি এবং বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ও চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তার অনুমতিক্রমে তক্ষতটি করমজলে অবমুক্ত করি।