আবারো সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার একটি আদালত মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা র্যাবকে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।
আজ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ নির্ধারিত থাকলে র্যাবের পক্ষ থেকে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি।
আদালতের নথি অনুযায়ী, এ নিয়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আদালত ৮৫ বার সময় দিলেন।
র্যাবের অতিরিক্ত সুপারিন্টেনডেন্ট খন্দকার শফিকুল আলম আজ ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম আদালতে সময় চেয়ে আবেদন করেন।
হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে বিলম্ব করায় এর আগে দুটি পৃথক আদালত অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙ্গার বার্তা সম্পাদক সাগর ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনিকে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে তাদের রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সময় ফ্ল্যাটটিতে ছিলেন তাদের ৫ বছর বয়সী একমাত্র পুত্র মাহির সারোয়ার মেঘ।
শের-ই-বাংলা নগর পুলিশ এবং পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার পরে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল র্যাবকে এই মামলার তদন্ত ভার দেওয়া হয়।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাসার দুজন নিরাপত্তাকর্মী পলাশ রুদ্র পাল ও এনামুল হক এবং সাগর-রুনির পারিবারিক বন্ধু তানভীর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরবর্তীতে তানভীর ও পলাশ জামিনে মুক্ত হয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। বাকিরা এখনো কারাগারে রয়েছেন।