গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনামুক্ত হয়েছেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত অ্যান্টিজেন কিট দিয়ে পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
জিকে রেপিড ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকার জানান, অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি কিট দিয়ে ডা. জাফরুল্লাহর পরীক্ষা করা হয়েছে।
পরীক্ষার ফলে তারা নিশ্চিত হয়েছেন তিনি এখন করোনামুক্ত। তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। তার শরীরে যথেষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। তাকে এখন সুস্থ বলা যায়।
তবে তার কিডনির সমস্যা এবং গত কিছু দিন যে ধকল গেছে, তাতে আরও কয়েক দিন তাকে হাসপাতালে থাকতে হবে।
তিনি আরও জানান, ডা. জাফরুল্লাহ শনিবার সারাদিন স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিয়েছেন। বাড়তি অক্সিজেন ছাড়াই তিনি প্রায় সারা দিন অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৫ শতাংশ রাখতে পেরেছেন।
এর আগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মামুন মোস্তাফী সাংবাদিকদের জানান, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ফুসফুসের সংক্রমণ কমছে।
দিনের বেশিরভাগ সময়ই অক্সিজেন ছাড়া থাকছেন। তবে গলার ব্যথার জন্য কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে।
ডা. চৌধুরী বর্তমানে নিজের স্থাপিত প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) মামুন মোস্তাফী এবং অধ্যাপক ডা. নাজিব মোহাম্মদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।
প্রসঙ্গত ৭৯ বছর বয়স্ক এ চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধা অনেক দিন থেকে কিডনির অসুখে ভুগছেন। তাকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয়।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র-উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তে র্যাপিড টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।
এ ছাড়া বিএসএমএমইউর পরীক্ষা থেকেও ২৮ মে তার করোনা পজিটিভ আসে।