মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ৬৬ দিন বন্ধ থাকার পর আজ রোববার (৩১ মে) থেকে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন চালু । লেনদেন চালুর বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অনাপত্তি দেয়ার প্রেক্ষিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দুই বাজারেই সকাল সাড়ে ১০টায় লেনদেন শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলবে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও সব প্রকার সুরক্ষা নিশ্চিত করে এই লেনদেন কার্যক্রম চলবে বলে ডিএসই জানিয়েছে।
দীর্ঘ বিরতির পর শেয়ারবাজারে আবার লেনদেন চালু হলেও দর্শনার্থীদের অফিসে প্রবেশ করতে নিরুৎসাহিত করেছে ডিএসই। একই সঙ্গে কর্মীদের শিফটিং অফিসের ব্যবস্থা করা এবং অফিসে মুখোমুখি বৈঠক থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে৷
তবে বিনিয়োগকারীদের সব থেকে বেশি যাতায়াত স্থান ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মতিঝিলের ডিএসই বিল্ডিং এবং ডিএসই এনেক্স বিল্ডিংয়ে প্রবেশের সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷
একই সঙ্গে হাঁচি, কাশি বা সন্দেহজনক লক্ষণ থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গ্রাহকদের শনাক্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছে ডিএসই। অফিস প্রাঙ্গণে প্রবেশের জন্য প্রতিবার হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা এবং ব্রোকারেজ হাউজে কর্মচারী ও গ্রাহকদের মাস্ক সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ডিএসই৷
মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার অংশ হিসেবে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে গত ২৬ মার্চ থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ করে দেয়া হয়। সরকার ছুটি বাড়ালে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শেয়ারবাজারও বন্ধ রাখার সময় বাড়ানো হয়। এতে ২৬ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৬৬ দিন বন্ধ থাকে শেয়ারবাজার।