ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি: রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্ত্বর এলাকা থেকে সাইফুল ইসলাম (৩৯) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে ফরিদপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।
তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ৫০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটের বড় চালান তিনি মাদারীপুরে পাঠাচ্ছিলেন।
পরে চার ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ঢাকার দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকার সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের নিচতলা থেকে ৫০ হাজার ইয়াবার সেই চালানটি জব্দ করেন ডিএনসির কর্মকর্তারা।
শুক্রবার (০৫ মে) বিকাল ৫টায় মতিঝিলের শাপলা চত্ত্বর থেকে ওই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার হন।
এরপর তাকে নিয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত অভিযান চলে।
গ্রেপ্তার হওয়া ওই মাদক কারবারি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ননীক্ষীর এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।
শনিবার (০৬ মে) সকাল ৮ টার দিকে ফরিদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামীম হোসেন ইয়াবাসহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফরিদপুরের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে তথ্য আসে একটি বড় চালান কুরিয়ারে মাধ্যমে ঢাকা হয়ে মাদারীপুর যাবে।
এ খবর জানা মাত্র শুক্রবার (০৫ মে) বিকাল ৫ টার দিকে ঢাকার মতিঝিল থানা এলাকার শাপলা চত্ত্বর হতে সাইফুল ইসলাম (৩৯) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করে তার দেহ তল্লাশি করে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের একটি পণ্য চালানের কপি পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে একটি বড় মাদকের চালান মতিঝিল থানাধীন ৫নং দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকার সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস সেন্টার হতে বুঝে নেওয়ার কথা জানান তিনি। আসামিসহ ওই চালান কপি নিয়ে ওই সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে যায় ডিএনসির কর্মকর্তারা।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরে ওই চালান কপি অনুযায়ী বস্তাটি খুঁজে বের করা হয়। তল্লাশি করে এর ভেতরে ব্যাগের মাঝখানে বিশেষভাবে লুকানো অবস্থায় স্বচ্ছ পলিথিনের বড় প্যাকেটে ২৫০টি (দুইশত পঞ্চাশ) নীল রংয়ের জিপার মেলে। যার প্রতি প্যাকেটের ভেতরে ২০০টি করে মোট ৫০ হাজার মিথাইল অ্যামফিটামিনযুক্ত ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ইয়াবা কারবারি জানায়, দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে মাদকের ডিলারদের সরবরাহ করে থাকেন তিনি।
ফরিদপুরের জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান।
ফরিদপুরের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।