
করোনা সংক্রামণ রোধে আগামী ৪ জুলাই থেকে রাজধানীর ওয়ারী এলাকা ২১ দিনের জন্য লকডাউন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ডিএসসিসির লকডাউন বাস্তবায়ন কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতি বৈঠক শেষে নগর ভবনে মেয়র একথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘আগামী ৪ জুলাই ভোর ৬টা থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত রাজধানীর ওয়ারী এলাকা লকডাউন করা হবে। এসময় সমস্ত কিছু বন্ধ থাকবে। তবে চলাচলের জন্য দু’টি সড়ক খোলা থাকবে। এ সময় লকডাউন এলাকায় করোনা নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া অন্যান্য জরুরি সেবাগুলো দেয়ারও ব্যবস্থা করা হবে।’
তিনি বলেন, লকডাউন এলাকায় নন কোভিড রোগীদের চিকিৎসার প্রয়োজন হলে সেটা দেয়া হবে। শুধুমাত্র ওষুধ, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে। তাছাড়া দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সামগ্রী ই-কমার্সের মাধ্যমে মিনাবাজার, স্বপ্নসহ অন্যান্যরা সরবরাহ করবে। সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়া হবে। সেখানে করোনার নমুনা সংগ্রহ বুথ থাকবে। তাছাড়া ডিএসসিসির মহানগর জেনারেল হাসপাতালকে কার্যকর করে আইসোলেশন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
লকডাউন এলাকায় এখন পর্যন্ত করোনা পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪৬ জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে আরো অনেকে সংক্রমিত হতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী তিন দিন মাইকিং করে লকডাউনের প্রস্তুতিগুলো এলাকাবাসীর কাছে তুলে ধরা হবে বলে জানানো হয়।
ডিএসসিসির ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ারীর টিপু সুলতান রোড, জাহাঙ্গীর রোড, ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন) এবং ইনার রোড হিসেবে লালমিনি রোড, হরে রোড, ওয়ার রোড, রানকিন রোড এবং নওয়াব রোড লকডাউনের আওতায় থাকবে। বাসস