৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ইরানে পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। দু’দিন যেতে না যেতেই প্রতিবেশী দেশে এই হামলা চালালো পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে দু’টি বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর ঘাঁটিকে টার্গেট করে হামলা চালায় ইসলামাবাদ। এতে নিহত হয় কমপক্ষে ৭ জন।
জানা গেছে, ইরানের সিস্তান-ও-বালুচেস্তন প্রদেশে চালানো হয় এ হামলা। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ অভিযানকে ‘অপারেশন মার্গ বার সারমাচার্স’ নামে আখ্যা দিয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই গোষ্ঠীগুলোর হামলার শিকার হচ্ছে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ। জবাবে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ধারাবাহিকভাবে ‘অত্যন্ত সমন্বিত ও নির্ভুল সামরিক হামলা’ পরিচালনা করেছে। এছাড়া অভিযান চলাকালে বেশ কয়েকজন ‘সন্ত্রাসীকে’ হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
পাকিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, বালুচেস্তন লিবারেশন ফ্রন্ট ও বালুচেস্তন লিবারেশন আর্মির একাধিক ঘাঁটিতে অভিযান চালানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ইরানের হামলার জেরে বুধবার দু’দেশের উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। তীব্র নিন্দা জানিয়ে তেহরান থেকে কূটনীতিক প্রত্যাহার করে ইসলামাবাদ। বহিষ্কার করে ইরানি রাষ্ট্রদূতকেও।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে হামলা চালায় ইরান। টার্গেট করা হয় সুন্নি উগ্রবাদি গ্রুপ জইশ-আল- আদল-এর দু’টি ঘাঁটি। তাতে প্রাণ যায় দুই শিশুর।
তবে পাকিস্তানে হামলার বিষয়ে ইরানের দাবি, পাকিস্তানে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতেই ওই হামলা চালানো হয়েছিল। কারণ জইশ আল আদলের মদতে ইরানে একাধিকবার হামলা হয়েছে। তার জবাব দিতেই বেলুচিস্তানে জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল তেহরান।
এর আগে গত সোমবার মোসাদের দফতরসহ ইরাক ও সিরিয়ার কয়েকটি স্থাপনায়ও হামলা চালায় ইরান।