শরণখোলায় চার বছরেও শেষ হয়নি তিন বছর মেয়াদী বেড়িঁবাধ নির্মাণ কাজ। নতুন করে আরও এক বছর প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণে জটিলতা ও করোনা পরিস্থিতির কারণে বেড়িবাঁধের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যায়নি বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২০১৬ সালের জানুয়ারীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের ৫২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বেড়িঁবাধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০১৯ সালের ৩০ জুন প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা। বাঁধ নির্মাণ কাজের চায়নার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আরো এক বছর কাজের মেয়াদ বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। অপরদিকে সাউথখালী ইউনিয়নের বগী এলাকায় নতুন করে বলেশ্বর নদী ভাঙ্গন বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যমান ডিজাইন পরিবর্তন করে বাধের জন্য ২ কিলোমিটার জায়গার জমি নতুন করে অধিগ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। ২০০৭ সালে সুপার সাইক্লোন সিডরে ব্যপক ক্ষতির কারণে উপজেলাবাসীর টেকসই বেড়িঁবাধের দাবীর প্রেক্ষীতে বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পে অর্থায়ন করে বলে ইউপি চেয়ারম্যান জানান।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, বগী এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য নতুন করে জমি অধিগ্রহনের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে হয়তো প্রস্তাবটি পাশ হতে দেরী হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) ‘সিইআইপি’ প্রকল্পের খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম মুঠোফোনে বলেন, নতুন করে কিছু জমি অধিগ্রহনের জটিলতা ও করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ে বেড়িঁবাধের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত আরো এক বছর পুনরায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন। ২০১৬ সালে তিন বছর মেয়াদের বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ৪ টি পোল্ডারে ৬৯৬ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে চায়নার ‘সিএইচডব্লিউই’ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক বছর সময় বাড়িয়ে নিয়ে ৪ বছরে ৩৫/১ পোল্ডারে বেরীবাধ নির্মাণ কাজের ৮০ ভাগ বাস্তবায়ন করেছে বলে তিনি জানান।
উৎসঃ দৈনিক ইত্তেফাক