অনেক মানুষ মাস্ক পরতে তেমন আগ্রহ দেখান না। অথচ এই মাস্ক এ ভাইরাস থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে। সম্প্রতি বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাতাসে ভেসে থাকা ক্ষুদ্র কণার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে বলে স্বীকার করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এ বিষয়ে নাকি প্রাথমিক প্রমাণও পেয়েছেন তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক কর্মকর্তা বলছেন, মানুষের ভিড়, বন্ধ ঘর, যেখানে বাতাস চলাচলের ভালো ব্যবস্থা নেই, সেসব জায়গায় বাতাসের মাধ্যমে এই ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, বাতাসের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ানোর তথ্যপ্রমাণ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। এ বিষয়ে আরও পর্যালোচনার প্রয়োজন বলেও মনে করছেন তারা।
গত বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে জানানো হয়, জনসমাগমযুক্ত স্থানে বাতাসে লম্বা সময় ধরে থাকতে পারে এই ভাইরাস। বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক তথ্যানুসারে, এই ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে এবং করোনায় আক্রান্ত ও লক্ষণবিহীন মানুষের মাধ্যমে ছড়াবে সবচাইতে বেশি।
তাই লম্বা সময়ের জন্য মাস্ক পরে থাকা বিরক্তিকর হলেও সামগ্রিকভাবে মাস্ক পরা ভীষণ জরুরি।সাম্প্রতিক সময়ের একটি গবেষণার পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, যেসব দেশে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, সেসব দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কম।
আরও দেখা গেছে, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয় এমন দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার প্রতি সপ্তাহে ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক এমন সব দেশে করোনায় মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ বেড়েছে ২.৮ শতাংশ পর্যন্ত।
মাস্ক যেভাবে সংক্রমণ রোধ করবে
বিবিসির তথ্যানুসারে, অর্ধেক সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এমন মানুষের কাছ থেকেই, যাদের মাঝে করোনায় আক্রান্তের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না।তাই করোনায় আক্রান্ত হয়েও লক্ষণ প্রকাশ না পাওয়া ব্যক্তিদের বলা হচ্ছে অ্যাসিমটোম্যাটিক পিপল।
গবেষকরা বলছেন, এমন মানুষ আমাদের আশপাশেই রয়েছে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে মাস্ক ব্যবহার আবশ্যক।