
আজ মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এক ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাঠ করেন ২৮ দফা সংবলিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’।
এই ঘোষণাপত্রে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক দিকনির্দেশনা তুলে ধরা হয়েছে। এতে বিগত সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসন, গণতন্ত্রের সংকট, বৈষম্য ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রেক্ষাপট বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-এর গুরুত্বপূর্ণ ২৮টি দফা সারাংশ আকারে উপস্থাপন:
১. ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা ও গণপ্রতিরোধের ইতিহাস।
২. জাতীয় মুক্তির মূলনীতি — সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার।
৩. ১৯৭২ সালের সংবিধানের দুর্বলতা ও রাজনৈতিক ব্যর্থতা।
৪. বাকশাল ও একদলীয় শাসনের বিরুদ্ধে ৭ নভেম্বর বিপ্লব।
৫. সামরিক স্বৈরতন্ত্রবিরোধী ৯০’র গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্ব।
৬. ১/১১ ষড়যন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হওয়া।
৭. বিগত ১৬ বছরের স্বৈরাচারী শাসনের চিত্র ও ক্ষমতার অপব্যবহার।
৮. গণহত্যা, গুম-খুন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ এবং প্রতিষ্ঠান ধ্বংস।
৯. বাংলাদেশকে ব্যর্থ ও মাফিয়া রাষ্ট্রে রূপান্তরের অভিযোগ।
১০. দুর্নীতি, ব্যাংক লুট ও পরিবেশবিনাশের চিত্র তুলে ধরা।
১১. জনগণের ওপর দীর্ঘ দমনপীড়নের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম।
১২. বিদেশী আধিপত্যবিরোধী আন্দোলন দমন ও রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন।
১৩. তিনটি প্রহসনের নির্বাচনে ভোটাধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত করা।
১৪. বৈষম্যমূলক নিয়োগ নীতি ও তরুণদের প্রতি নিপীড়নের অভিযোগ।
১৫. নিপীড়নের ফলে জনরোষ ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের উত্থান।
১৬. কোটা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের ওপর বর্বরতা।
১৭. নারী-শিশুসহ এক হাজারের বেশি মানুষ হত্যার অভিযোগ।
১৮. ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের প্রেক্ষাপট।
১৯. গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা।
২০. ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আইনি ভিত্তি।
২১. ফ্যাসিবাদমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ।
২২. সুশাসন, আইনের শাসন ও সাংবিধানিক সংস্কারে জনগণের প্রতিশ্রুতি।
২৩. গুম-খুন, গণহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের ঘোষণা।
২৪. আন্দোলনকারীদের সুরক্ষা ও শহীদদের জাতীয় বীর ঘোষণা।
২৫. একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের পথ নির্ধারণ।
২৬. জলবায়ু ও পরিবেশসহ টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।
২৭. ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান।
২৮. এই ঘোষণাপত্রকে গণঅভ্যুত্থান বিজয়ের চূড়ান্ত দলিল হিসেবে ঘোষণা।