
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেন সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা।
বুধবার (২৮ মে) দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সচিবালয়ের কর্মচারীরা প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন কবেন বলে ঘোষণা দেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা।
একই সঙ্গে মাঠপর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সব দফতরে একই সময়ে এই কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানায় ঐক্য ফোরাম।
দাবি পূরণ না হলে ৩১ মের পর থেকে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে গত বুধবার জানান ঐক্য ফোরামের নেতারা।
বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদীউল কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে এই কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে। এখন তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের লাইব্রেরিতে বসবেন।
পরে এই প্রতিবেদক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অবস্থিত সচিবালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে গিয়ে বেশ কিছুসংখ্যক কর্মচারীর জমায়েত দেখতে পান। এদিকে কিছু দফতরে গিয়ে কোনো কোনো কর্মচারীকে নিজ দফতরে দেখা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন হয়। এর পর থেকে এই অধ্যাদেশের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। আন্দোলনের মধ্যেই গত রোববার সন্ধ্যায় সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করে সরকার। এই অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে গত শনিবার থেকে আন্দোলন করছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।