আগামী ১৪ জুলাই থেকে হজযাত্রীদের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। গতকাল রোববার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইটি হেল্প ডেস্কের হজের প্রতিদিনের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে, বুলেটিনে বলা হয়েছে—১৪ জুলাই থেকে শুরু হয়ে হজযাত্রীদের ফিরতি ফ্লাইট ৪ আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এয়ারলাইন্স ও ফ্লাইনাসের ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন হজযাত্রীরা।
এদিকে, আজ সোমবার তাশরিকের তৃতীয় দিনে ছোট, মধ্যম ও বড় জামারায় পাথর নিক্ষেপ শেষ করবেন হাজিরা। এ সময় তাঁরা পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়া পাহাড় সাত বার প্রদক্ষিণ শেষে আবার মিনার তাঁবুতে ফিরে আসেন।
এবার বাংলাদেশ থেকে হজ পালনের উদ্দেশে ৩২ দিনে ১৬৫ ফ্লাইটে সৌদি পৌঁছেছেন ৬০ হাজার ১৪৬ হজযাত্রী। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় গিয়েছেন চার হাজার ৮৯ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৫৪ হাজার ২৯ জন। এদের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৮৭টি ফ্লাইটের মাধ্যমে ৩০ হাজার ৩৬৩ জন হজ যাত্রী পরিবহন করেছে। সৌদি এয়ারলাইন্স ৬৪টি ফ্লাইটের মাধ্যমে ২৩ হাজার ৯১৯ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ১৪টি ফ্লাইটের মাধ্যমে পাঁচ হাজার ৮৬৪ জন হজযাত্রী পরিবহন করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি হজযাত্রীদের মধ্যে ১০ পুরুষ, পাঁচ নারীসহ মোট ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মক্কায় ১৩ জন, মদিনায় দুজন এবং জেদ্দায় এক হজযাত্রী মারা গেছেন। তাঁরা হলেন—ঢাকার বিউটি বেগম, মাদারীপুরের শিবচরের লায়লা আক্তার, রংপুরের পীরগাছার আবদুল জলির খান, কুমিল্লা আদর্শ সদরের ধনপুরের মোছা. রামুজা বেগম, জয়পুরহাট সদরের মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা, রাজধানীর বাড্ডা সাতারকুল এলাকার মোছা. ফাতেমা বেগম, নোয়াখালী জেলার নুরুল আমিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মো. জাহাঙ্গীর কবির, টাঙ্গাইলের মো. আব্দুল গফুর মিয়া, ঢাকা জেলার তপন খন্দকার, সিরাজগঞ্জ কামারখন্দের মো. রফিকুল ইসলাম, রংপুরের মো. খয়বর হোসেন, নঁওগার মো. আব্দুল মোত্তালিব এবং সর্বশেষ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিরিনা আক্তার।