বাসুদেব বিশ্বাস, বান্দরবান : বান্দরবানে আগত পর্যটকসহ সকল ভোক্তাদের নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হোটেল রেস্তেরাঁর মালিক এবং কর্মীদের সচেতন করতে এক আলোচনা সভা ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি বান্দরবান জেলা শাখার আয়োজনে বান্দরবান প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন এর সভাপত্বিতে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সুমধু চক্রবর্ত্তী । এসময় কর্মশালায় প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক, রোয়াংছড়ি উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মো.নাঈম উদ্দিন, বাংলাদেশ রেস্তেরাঁ মালিক সমিতি বান্দরবান জেলা শাখার সহ-সভাপতি মো.রফিকুল ইসলাম ,মো: শাহাদাৎ ,সাধারণ সম্পাদক অনুরোধ দাশসহ বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি বান্দরবান জেলা শাখার সদস্য এবং বিভিন্ন রেস্তোরাঁর কর্মরত কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি বান্দরবান জেলা শাখার সহ-সভাপতি মো.রফিকুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বান্দরবান প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক। এসময় তিনি বলেন, বান্দরবানে আগত পর্যটকসহ সকল ভোক্তদের নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হোটেল রেস্তোরাঁর মালিক ও কর্মীদের সচেতন করতে এই ধরণের প্রশিক্ষন খুবই ভালো উদ্যোগ। এসময় তিনি আরো বলেন, বান্দরবানে প্রতিনিধি অসংখ্য পর্যটক আসে আর তাদের সেবা দিতে প্রত্যোক সেক্টর সুন্দরভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এসময় বান্দরবান প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক বলেন, দেশী বিদেশি প্রচুর পর্যটক বান্দরবানে আসে আর তারাই বান্দরবান থেকে ফেরত গিয়ে বান্দরবানকে নিয়ে ভালো মন্দ প্রচার করে,আর তাই আমাদের সুনাম ধরে রাখতে এবং বান্দরবানের সুনাম সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে প্রতিটি হোটেল ও রেস্তোরারঁ মালিক এবং কর্মচারীদের ভালো আচরণ এবং মানসম্মত নিরাপদ খাদ্য সবাইকে পরিবেশন করতে হবে।
প্রশিক্ষণ কর্মসুচীতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রোয়াংছড়ি উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মো.নাঈম উদ্দিন বলেন, প্রত্যাশিত ব্যবহার ও উপযোগিতা অনুযায়ী মানুষের জন্য বিশুদ্ধ ও স্বাস্থ্যসম্মত আহার্য হলো নিরাপদ খাদ্য, আর আমাদের সবাইকে নিরাপদ খাদ্য পরিবেশ করতে হবে।
এসময় প্রধান অতিথি বান্দরবান জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সুমধু চক্রবর্ত্তী বলেন, নিরাপদ খাদ্য ২০১৩ সর্ম্পকে আমাদের সবাইকে জানতে হবে। আইনটির মূল উদ্যোশে হল নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা । খাদ্য উৎপাদন,আমদানি,প্রক্রিয়াকরণ,মজুদ,সররবাহ,বিপনন ও বিক্রয় কার্যক্রম সমন্বয়ের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা এবং একটি দক্ষ ও কার্যকর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কার্যকর নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গড়ে তোলা। এসময় বান্দরবান জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সুমধু চক্রবর্ত্তী আরো বলেন,অন্যান্য জেলার চাইতে বান্দরবানের রেস্তোরাঁয় ভালোমানের খাদ্য সরবরাহ করা হয় এবং আগামীতেও যাতে সবাই নিরাপদ খাদ্য পরিবেশন করে এজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
আলোচনা সভা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশ রোস্তোরাঁ মালিক সমিতি বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন,বান্দরবান সদরে প্রায় ৬০টি রেস্টুরেন্ট রয়েছে আর এতে কাজ করছে প্রায় ১হাজার ৫শত জন কর্মী। এসময় তিনি আরো বলেন,পর্যটন জেলা হিসেবে বান্দরবানের সুনাম সর্বত্র রয়েছে এবং আমরা যাতে সবাইকে নিরাপদ খাদ্য পরিবেশন করতে পারি সেজন্য হোটেল মালিকদের সাথে সাথে হোটেলে কর্মরর্ত কর্মচারী এবং ক্রেতাদেরও আরো সচেতন হতে হবে। বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন আরো বলেন,বান্দরবানের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় নিরাপদ খাদ্য বিক্রি করা এবং কর্মীরা যাতে ক্রেতাদের সাথে সবসময় ভালো আচরণ করে সেজন্য আমরা এই প্রশিক্ষণ শুরু করেছি এবং আগামীতে ও এইধরণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।