কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে হানিমুনে গেলে স্বামীকে মারধর করে প্রেমিক সাইদুর রহমান নোমান নামের এক ছাত্রলীগ নেতা নববধূকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। এ ঘটনায় ৭ দিন পর তালতলী থানা পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্ত্রীকে নিয়ে হানিমুনে যান প্রবাসী স্বামী মনিরুল ইসলাম (৩৫)। রাত ১১টার দিকে স্ত্রী পরকীয়া প্রেমিক নোমানসহ লোকজন নিয়ে প্রবাসী স্বামী মনিরুল ইসলামকে মারধর করে। প্রেমিক সাইদুর রহমান নোমান তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ছোটবগী ইউনিয়নের মৌপাড়া এলাকার আলাল হাওলাদারের ছেলে।
এ ঘটনার ৭ দিন পর তালতলীর নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের আগাপাড়া শাহজাহান প্যাদার ছেলে হাসান প্যাদার (ছেলের দুলাভাই) বাড়িতে আত্মগোপন করে। সংবাদ পেয়ে তালতলী থানা পুলিশ তাদের হাসান প্যাদার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গিয়ে স্বামীকে মারধর শেষে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায় নববধূ। সেই আলোচিত পরকীয়া প্রেমিক-প্রেমিকা তালতলীতে আত্মগোপন করে। পরে সংবাদ পেয়ে তালতলী থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় মহিপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। মহিপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাদের মহিপুর থানায় পাঠানো হয়েছে।