কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন পুরান ঢাকার সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম। বুধবার (২৮ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন। এ সময় তার অনুসারী ও সমর্থকরা গলায় মালা পরিয়ে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়।
তার কারামুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইরফান সেলিমের আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ। এই আইনজীবী বলেন, কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর ইরফান সেলিম সরাসরি আজিমপুর কবরস্থানে যান। সেখানে মা ও আত্মীয়দের কবর জিয়ারত করেন। এসময় তার সঙ্গে তার সমর্থক ও ঘনিষ্ঠ স্বজনরা ছিল। এরপর তিসি পুরান ঢাকায় নিজের বাসায় যান।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ অক্টোবর রাতে কলাবাগানের ট্রাফিক সিগন্যালে হাজী সেলিমের একটি গাড়ি থেকে দুই-তিন জন ব্যক্তি নেমে ওয়াসিফ আহমেদ খান নামে এক নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে ফুটপাতে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে ট্রাফিক পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পথচারীরা এই দৃশ্য ভিডিও করেন, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। তখন ওই গাড়িতে ছিলেন ইরফান। ওই ঘটনায় ইরফানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওয়াসিফ।
পরদিন পুরান ঢাকার হাজি সেলিমের বাড়ি থেকে ইরফানকে আটক করার সময় অস্ত্র ও বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। মদ আর ওয়াকিটকির জন্য ইরফান ও তার দেহরক্ষীকে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় মাস করে এক বছরের দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এরপর ২৮ অক্টোবর র্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় এরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা করেন। পরে অস্ত্র মামলা থেকে ইরফান সেলিমকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মারধরের মামলায় নিম্ন আদালতে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন ইরফান সেলিম। নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ইরফান সেলিমকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। গত ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।