অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে ঢাকা-৭ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফানকে দুই মামলায় ৬ মাস করে ১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া তার দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামকেও ৬ মাস করে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
সোমবার র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের ভ্রাম্যমাণ আদালত এ কারাদণ্ড দেন।
সোমবার সন্ধ্যায় র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ও আলামতের ভিত্তিতে আমরা আমাদের অভিযান পরিচালনা করেছি। আমরা অভিযান পরিচালনা করার পর আমরা সেই অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ অভিযানের সময় হাজী সেলিম বাসায় ছিলেন না বলে জানান তিনি।
র্যাব মুখপাত্র কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, আমরা তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করব। একটি অস্ত্র আইনে আরেকটি মাদক আইনে। এরপর তাকে আমরা সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করে জেলহাজতে প্রেরণ করব।
এর আগে হাজী সে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র,মদ, বিয়ার ও ওয়াকিটকিসহ বিপুল পরিমাণ নিরাপত্তা সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে র্যাব।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় অভিযান শুরু করে র্যাব। চকবাজারের ২৬ নম্বর দেবীদাস ঘাট লেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সাংসদপুত্র মোহাম্মদ ইরফান সেলিমকে গ্রেফতার করে। একই সঙ্গে বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ওইসব দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চকবাজারের ২৬ নম্বর দেবীদাস ঘাট লেনের ওই বাড়ির চতুর্থ ও পঞ্চম তলাটি ডুপ্লেক্স সিস্টেমে নির্মাণ করা হয়েছে। ৪র্থ তলার উত্তর কর্ণারের রুমটিতে বসবাস করতেন এমপি পুত্র ইরফান সেলিম।
তার রুমের তোশকের নিচে ম্যাগজিন ভর্তি একটি বিদেশী পিস্তল পাওয়া গেছে। এছাড়া ৫ম তলায় পূর্ব পাশের কর্নারে ৫টি ওয়ারল্যাস এবিএস সিস্টেম ও ৪০টি ওয়াকিটকি সেট, একটি হ্যান্ডকাপ, একটি বন্দুক, বিদেশী মদের বোতল ও বিয়ার মদ পাওয়া গেছে।
এসব সরঞ্জাম ও আগ্নেয়াস্ত্র ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য এখনো যে অবস্থায় ছিল, তেমনটি রেখে দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম।