বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আমরা স্বীকার করছি, জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় দেশের মানুষ কষ্টে আছে। এটা সত্যি কথা যে, মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এই কষ্টের পেছনে কিন্তু আমাদের চেয়ে বৈশ্বিক কারণ বেশি৷ এখন বৈশ্বিক কারণটাতো আমরা রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারব না। প্রত্যেক মানুষের জীবনে কখনো ভালো সময় থাকে, কখনো খারাপ সময় থাকে।
সচিবালয়ে আজ বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স এর সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং এর সময় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, সয়াবিন তেলের বিষয়টি আমাদের ট্যারিফ কমিশন ঠিক করবে। আমি বলেছি, খুব শিগগিরই আবার বসে পুরো জিনিসটা স্টাডি করে নির্ধারণ করবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ব্যবহারে সকলকে দায়িত্বশীল ও সাশ্রয়ী হতে হবে। চলমান বিশ্বপরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। ডলারের মূল্য আর বৃদ্ধি না পেলে বা আন্তর্জাতিক বাজারে আমদানি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি না পেলে, দেশেও পণ্যের মূল্য বাড়বে না। দেশে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। আতঙ্কিত হবার কারণ নেই। দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, মজুত ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন জিএম সালেহ উদ্দিন, ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি) এর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, দেশবন্ধু গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, সিটি গ্রুপের উপদেষ্টা অমিতাভ চক্রবর্তী, মেঘনা গ্রুপের ডেপুটি অ্যাডভাইজার মো. শফিউর রহমান, কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর কাজী মো. আব্দুল হান্নান। এছাড়া, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, খাদ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।