
ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ গত ১০ মার্চ, ২০২৫ ইং তারিখ আনুমানিক রাত ৯.৩০ ঘটিকার সময় স্বামী মোঃ জাকির মোল্যা স্ত্রী রিক্তার সাথে তার প্রথম স্ত্রী সম্পর্কে কথা-বার্তার একপর্যায়ে স্ত্রী রিক্তা বেগম (২৯) এর সাথে এ বিষয়ে কথা-কাটাকাটি হলে স্বামী মোঃ জাকির উত্তেজিত হয়ে স্ত্রী রিক্তা বেগম কে এলোপাথারি ভাবে লাথি, ঘুষি ও এক পর্যায়ে লোহার রড় দিয়ে তাকে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। উক্ত রাত আনুমানিক ১.০০ ঘটিকার দিকে স্ত্রী রিক্তার মৃত্য ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে বিষ পানে আত্ম হত্যার নাটক সাজিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে তাকে ভর্তি করে। এদিকে রিক্ত বেগমের পরিবার এর পক্ষ থেকে রিক্ত বেগমের মা বলেন- আমার মেয়ে রিক্ত বেগম কে যখন পাষন্ড স্বামী মোঃ জাকির মোল্যা তাকে রড় দিয়ে পিটায়ে মারাত্মক জখম করে এবং সে মোবাইলে শোর-চিৎকার করে বলে যে- মা আমার স্বামী আমাকে লোহার রড় দিয়ে আঘাতের মাধ্যমে বেদম প্রহর করছে, আমার অবস্থা মৃত্যুপ্রায়। এই কথা শেষ হতে না হতেই মোবাইল ফোনটি হয়তবা কেউ তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
মা মেয়ের এহেন পরিস্থিতি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হয়তবা কোন সাধারণ ঝগড়া হয়েছে মনে করে গভীর রাতে মেয়ের বাড়িতে নাগিয়ে সকাল বেলা মেয়ের বাড়িতে যাওয়ার প্রাক্কালে শহীদ মাস্টার নামের এক ব্যাক্তির নিকট থেকে পরিবারের লোকজন জানতে পারে যে- তাদের মেয়ে বিষ পানে আত্নহত্যা করেছে এবং মেয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। এই কথা শোনা মাত্র রিক্তার পরিবারের সকলে ১১ মার্চ, ২০২৫ ইং তারিখ উক্ত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে এসে রিক্তা বেগমের মরদেহ মর্গে দেখতে পায়। এখানে উল্লেখ্য যে, রিক্তা বেগমকে মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথটি রিক্তা বেগমের বাপের বাড়ির ঠিক সামনে দিয়েই। পাষন্ড স্বামী ও তার লোকজন রিক্তা বেগমকে শশুর বাড়ির সামনে দিয়ে নিয়ে গেলেও কোন একটি লোকও রিক্তা বেগমের পরিবারকে অবহিত করে নাই, বরং তারা রিক্তার এই অপমৃত্যু ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে বিষপানে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশের প্রাথমিক সুরোত হাল রিপোটে উল্লেখ থাকে যে হাতের এক পার্শ্বে পিটানোর রক্তাক্ত চিহ্ন ও পেটের বাম পার্শ্বে মারের আঘাত এবং কান ও মুখে আঘাতের চিহ্ন ও বাম স্তনের নিচে পাজরে নিলা-ফুলা বিদ্যমান রয়েছে। উক্ত রিপোর্ট অনুযায়ী প্রাথমিক ভাবে আঘাতের মাধ্যমে মৃত্যু হয়েছে যেখানে বিষ পানের কোন কথা উল্লেখ নাই মর্মে অবহিত হয়। উল্লেখ্য রিক্তা বেগমের ৬ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। মৃত্যুর রহস্য আলোচনায় উন্মোচিত হয় যে, শহিদ মাষ্টার মুলত জাকির মোল্যার প্রথম স্ত্রীর নিকট আত্মীয় হওয়ায় রিক্তা বেগমের এই অপমৃত্যুর পিছনের তার ভুমিকা রয়েছে। কারন রিক্তা বেগমকে পৃথিবী ছাড়া না করতে পারলে তার আত্মীয় জাকির মোল্যার প্রথম স্ত্রীর পথ চলা সুগম হবে না। স্বামী- জাকির মোল্যার সাথে টেলিফোনে কথা হলে তিনি স্ত্রীকে মার-ধরের কথা স্বীকার করে পরে বলেন- যে আমার স্ত্রী বিষ পানে মৃত্যুবরণ করে। স্বামী- জাকির মোল্যার সাথে টেলিফোনে কথা হলে তিনি স্ত্রীকে মার-ধরের কথা স্বীকার করে পরে বলেন- যে আমার স্ত্রী বিষ পানে মৃত্যুবরণ করে। উক্ত রিপোর্ট অনুযায়ী প্রাথমিক ভাবে আঘাতের মাধ্যমে মৃত্যু হয়েছে যেখানে বিষ পানের কোন কথা উল্লেখ নাই মর্মে অবহিত হয়। উক্ত বিষয়ে রিক্তা বেগমের পরিবার- ন্যায় বিচার প্রাপ্তির জন্য জেলা প্রশান ও পুলিশ সুপার মহোদয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।