রেলমন্ত্রীর আত্মীয়কে জরিমানা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সেই টিটিই শফিকুল ইসলামের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। রোববার সকালে রেল ভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
এক ব্রিফিংয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, তার স্ত্রীর নির্দেশে শফিকুলকে বরখাস্তের আদেশ দেয়া ডিসিওকে কারণ দর্শানো নোটিস দেয়া হবে।
এদিকে, রেলওয়ের বরখাস্ত টিটিই শফিকুল ইসলামকে দু্ই দিন পর দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হয়েছে। রোববার দুপুরে একথা নিশ্চিত করেন রেলওয়ের পাকশী ডিভিশনাল ম্যানেজার শাহীদুল ইসলাম।
তাকে না জানিয়ে তার স্ত্রী যেটি করেছেন, তাতে তিনি বিব্রত বলেও মন্তব্য করেন রেলমন্ত্রী সুজন। মন্ত্রী এবং তার স্ত্রী ছাড়া কারোরই বিনা টিকিটে রেলে চড়ার এখতিয়ার নেই বলেও জানান রেলমন্ত্রী।
রেলমন্ত্রী বলেন, একজন টিটিইর দায়িত্বই হচ্ছে, এটা দেখা কোনো যাত্রী বিনা টিকিটে কেউ ভ্রমণ করছে কিনা। যাত্রীদের সহযোগিতা করা। ডিসিপ্লিন আনার ক্ষেত্রে একজন টিটিইর এটাই দায়িত্ব। আমি এই কথাটাই বলেছি। টিটিই বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং ডিসিওকে শোকজ করা হবে।
তিনি বলেন, মাত্র ৯ মাস হলো আমার বিয়ে হয়েছে। নতুন যে স্ত্রীকে আমি গ্রহণ করেছি, সে ঢাকাতেই থাকে। তার মামাবাড়ি ও নানাবাড়ি হলো পাবনা। আমি শুনেছি তারা আমার আত্মীয়। এটা এখন ঠিক, যেটা আমিও এখন শুনেছি। এর আগে পর্যন্ত আমি জানতাম না, এরা কারা এবং আমার জানার কথাও না।
তিনি আরো বলেন, আমার স্ত্রী যদি কোনো ধরনের ভুল করে থাকে তাতে আমার ইনভলবমেন্ট ছিল না। যেটা বলা হচ্ছে বা টার্গেট করা হচ্ছে, মন্ত্রী এই কারণে এটা ঠিক না। তবে মেসেজটা যেভাবে গেছে এটা সঠিক হয়নি।
এদিকে, রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর ফোন পেয়ে টিটিইকে বরখাস্ত করা ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
গত ৪ মে দিবাগত রাতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে এ জরিমানার ঘটনা ঘটে। পরে বৃহস্পতিবার (৫ মে) বিকেলে ঈশ্বরদীর পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের নির্দেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সমালোচনার মুখে পুরো বিষয়টি তদন্তে শনিবার (০৭ মে) রেলের পক্ষ থেকে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।